কাকদ্বীপ, 29 জানুয়ারি: স্কুলে কন্যাশ্রীর টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম নাজমুল হক। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে সোমবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় একটি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধানের ঘনিষ্ঠও সে। ওই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজকর্মও সে দেখাশোনা করে বলে জানা গিয়েছে। বছর তেত্রিশের অভিযুক্তের সঙ্গে বছর দু'য়েক আগে ওই স্কুল ছাত্রীর সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, নাবালিকাকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এমনকী মেয়েটি বিয়ের প্রস্তাব দিলে বেঁকে বসে অভিযুক্ত। এরপরই নাবালিকার পরিবারের তরফে ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নির্যাতিতার বাবা জানান, প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মেয়েকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে সে। খাবারের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খুনের চেষ্টাও হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ অন্যদিকে আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে নাবালিকাকে। ফলে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।" এ বিষয়ে কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, "কন্যাশ্রীর টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত যুবক দিনের পর দিন ঢোলাহাট থানা এলাকার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এমনকী বিভিন্ন অজুহাতে দক্ষিণ 24 পরগনা বিভিন্ন হোটেলে ওই নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীরা নারকীয় অত্যাচার চালাত ওই নাবলিকার উপর।"
এরপর নাবালিকা পরিবারের কাছে সমস্ত বিষয় প্রকাশ্যে আনে। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এদিন কাকদ্বীপ কোর্টে পেশ করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: