ঘাটাল, 3 সেপ্টেম্বর: কয়েকমাস আগেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাস্তার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ 5 মাসের মধ্য়েই সেই রাস্তায় বড় বড় গর্ত ৷ এমনই দশা নবনির্মিত ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক ৷ 170 কোটির রাস্তার এমন বেহাল দশা দেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৷ তাঁদের ক্ষোভে মুখে পড়ে অবশেষে নবনির্মিত রাস্তার ক্ষত সাড়াতে পরিদর্শনে এল রাজ্য পূর্ত দফতরের রোড অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আরবিআরআই) বিভাগের একটি দল । রাস্তা খুঁড়ে মাটির নমুনা সংগ্রহ করছেন তাঁরা ৷
ঢাক ঢোল পিটিয়ে গত 12 মার্চ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর দুই জেলার সংযোগকারী 31.75 কিলোমিটার দৈঘ্যের 4 নম্বর ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু উদ্বোধনের পাঁচ মাস যেতে না যেতেই বেহাল সেই রাজ্য সড়ক ৷ ফলে ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা । সদ্য নির্মিত রাজ্য সড়কের একাধিক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে । প্রতিদিনই প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা । সেই অভিযোগ, পেয়েই রাস্তার কাজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে রাজ্য পূর্ত দফতরের রোড অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (RBRI) বিভাগ । রাজ্য সড়কের ক্ষতের কথা মানছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ।
ঘাটাল- পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের কাজ এখনও শেষ হয়নি । তার আগেই বহু জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে ৷ তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে । যদিও সম্পুর্ন কাজ সম্পন্ন না করে তড়িঘড়ি গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যসড়ক উদ্বোধন নিয়ে তৎকালিন সময়ে প্রশ্ন উঠেছিল । উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বর রাজ্য সড়ক পাঁশকুড়ার মেচগ্রাম থেকে ঘাটাল পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য প্রায় 170 কোটি আর্থিক সাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক উন্নয়ন বিভাগ । কাজ শেষ হওয়ার আগে গত মার্চ মাসে লোকসভা ভোটের আগে রাস্তার উদ্বোধন করা হয় । উদ্বোধনের পাঁচ মাসের মাথায় বহু জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে । এত দ্রুত রাস্তায় ক্ষত তৈরি হওয়ায় ধন্দে পড়েছে পূর্ত দফতরও ।
এই রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বে ছিল কলকাতারই এক নাম করা ঠিকাদারি এজেন্সির উপর । নির্মাণ কাজ চলাকালীন দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্য পূর্ত দফতরের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়াররা । সেই সঙ্গে, দফায় দফায় দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সড়ক বিভাগের বিশেষজ্ঞরাও এসে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন ৷ তাঁরাও নাকি রাস্তা নির্মাণে কোনও ত্রুটি পাননি । তাহলে এত তাড়াতাড়ি রাস্তায় ক্ষতের সৃষ্টি হল কেন ? উঠছে প্রশ্ন ।