বোলপুর, 21 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বোলপুরে। পরে যৌনাঙ্গে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে নৃশংস অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এই মর্মে হাসপাতাল থেকে সটান বোলপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতা ৷ অভিযুক্ত ফিরোজ খাঁ বোলপুর থানার বাহিরী-পাঁশচোয়া গ্রাম পঞ্চায়েত করিমপুরের বাসিন্দা ৷ ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-সহ গোটা দেশ ৷ দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ, অবরোধ, প্রতিবাদ । সুপ্রিমকোর্ট এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ দিয়েছে ।
এই ঘটনার মাঝেই বোলপুরে নৃসংশ ভাবে ধর্ষণের অভিযোগ । মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে গোয়ালঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়৷ এমনকি, যৌনাঙ্গে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে 17 অগস্ট। ঘটনার পর থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নির্যাতিতা ৷ হাসপাতাল থেকে সটান বোলপুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা ৷ অভিযুক্তের নাম ফিরোজ খাঁ । বাড়ি বোলপুরের বাহিরী-পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিমপুর গ্রামে । এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত অভিযুক্ত ফিরোজ ৷
নির্যাতিতার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এই ফিরোজ খাঁ সম্পর্ক রাখার জন্য হুমকি দিত৷ শনিবার দুপুরে রাস্তায় একা পেয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গোয়ালঘরে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে তার 4 বছরের পুত্র সন্তান ছিল৷ তাকে বস্তায় ভরে দেয় ফিরোজ৷ পরে ধর্ষণ করে৷ এমনকি, যৌনাঙ্গে বন্দুক ঢুকিয়ে নির্মমভাবে অত্যাচার করে। ঘটনার পর মান বাঁচাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা ।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের মাঝে আরও এক নৃসংশ ধর্ষণের ঘটনায় ঘুম ছুটেছে পুলিশের৷ ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামীর বয়ান রেকর্ড করা শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, অভিযুক্তের খোঁকে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতার স্বামী বলেন, "ওই ফিরোজ এলাকায় বন্দুক নিয়ে ঘোরে ৷ আমাকে ভয় দেখায়। আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে বন্দুক দেখিয়ে ৷ এত দিন আমার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৷ আজ অভিযোগ করলাম থানায় ।"