বাঁকুড়া, 8 ফেব্রুয়ারি: গ্রাম লাগোয়া আলুজমি থেকে মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ৷ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার গৌর এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসী মাঝি নামের ওই গৃহবধূকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জের নাকি ত্রিকোণ প্রেমের কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌড়গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশ মানসী ওই এলাকারই যুবক প্রদীপ মাঝিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। দুই সন্তানের মা মানসী। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, প্রায়শই পারিবারিক কারণে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকত মানসীর। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গ্রাম লাগোয়া আলু জমির পাশে মানসীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর বিরুদ্ধেই সন্দেহ তীব্র হয় বাপের বাড়ির লোকজনের। তাঁদের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরেই স্বামী প্রদীপ মাঝি স্ত্রী'কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে।
ঘটনার পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী প্রদীপ মাঝিকে আটক করেছে কোতুলপুর থানার পুলিশ। এদিকে মানসীর শ্বশুরবাড়ি অবশ্য এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব এনেছে। মৃতের শাশুড়ির দাবি, পুত্রবধূ অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। ওই যুবকই মানসীকে খুন করে থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার মানসীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর কোতুলপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাসের নেতৃত্বে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন ৷ পাশাপাশি মৃতের শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন ৷ খুব শীঘ্রই আসল দোষী শাস্তি পাবে বলে জানান বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস ৷
আরও পড়ুন: