জগাছা, 1 নভেম্বর: একই দিনে 4 বছরের শিশুপুত্র-সহ নিখোঁজ মহিলা এবং তাঁর নাবালিকা ননদ ৷ ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও, পুলিশে এফআইআর দায়ের না-হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও, নিখোঁজ মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী মাসতুতো ননদকে সঙ্গে নিয়ে অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত 29 অক্টোবর বিকেল থেকে রহস্য়জনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় হাওড়া জগাছার এক নবম শ্রেণির ছাত্রী (15 বছর) ৷ সে স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল ৷ পরিবারের দাবি, তারপর আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী ৷ ঘটনার সময় নাবালিকার মা কলকাতা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন ৷ বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে পাননি ৷ কিন্তু, স্কুল ছুটির সময় পেরিয়ে গেলেও, বাড়িতে ফেরেনি সে ৷ এরপর নাবালিকার মা, তার বন্ধুদের কাছে ও স্কুলে গিয়ে খোঁজ শুরু করেন ৷ কিন্তু, জানতে পারেন, সেদিন স্কুল খোলা ছিল না ৷
এরপরেই তিনি বিষয়টি পরিবারের অন্যান্যদের জানান ৷ তখনই জানা যায়, ওই নাবালিকার বউদি তথা মাসতুতো দাদার স্ত্রীও (24) নিখোঁজ রয়েছেন ৷ এমনকি তাঁর 4 বছরের শিশুপুত্রও নিখোঁজ রয়েছে ৷ এরপরেই তাঁরা জগাছা থানায় তিনজনের নিখোঁজের অভিযোগ জানাতে যান ৷ তবে, পুলিশের তরফে সেই সময় জেনারেল ডায়রি করে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ যেহেতু, নিখোঁজের পর 48 ঘণ্টা পার হয়নি ৷
এ নিয়ে নিখোঁজ মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন ৷ সঙ্গে মাসতুতো ননদ ও 4 বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী মাঝে মধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন ৷ স্ত্রীর সঙ্গে মাসতুতো ননদের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল ৷ এমনকি মহিলা সম্প্রতি তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোন বিক্রি করে দেন ৷ এমনকি ব্যাংকে গিয়ে নতুন এটিএম কার্ড তৈরি করান ৷ সম্প্রতি মোবাইল ফোনে কথা বার্তাও বেড়ে গিয়েছিল তাঁর স্ত্রীর ৷ আর এই সব থেকে মহিলার স্বামীর দাবি, ছেলে এবং নাবালিকা মাসতুতো ননদকে নিয়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী ৷
তবে, জেনারেল ডায়রি দায়ের হওয়ার পরেও তিনদিন অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, তারপরেও পুলিশের কাছে গিয়ে পরিবারের কেউ নিখোঁজের অভিযোগ লেখাননি ৷ বিশেষত, নাবালিকার পরিবারের লোকজন কেন লিখিত অভিযোগ করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তবে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য়দের ডেকে পাঠানো হবে ৷