কলকাতা, 29 নভেম্বর: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে এবার রাজ্য বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি পরিষদীয় দল । এর আগে সোশাল মিডিয়ায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তিনি । রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে ।
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন শুক্রবার মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন শুভেন্দু ৷ বিজেপির দাবি, ভারতের মাটিতে স্বাধীনভাবে নিজের নিজের ধর্মচর্চা করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত । সেই অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে । একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তরফে এটি করা হচ্ছে ৷
এদিন, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার জন্য ওঠে । কিন্তু, আলোচনায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই প্রস্তাবটি পাঠ করার সুযোগ পাননি । এরপর হট্টোগোল শুরু হয় । শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা কক্ষের ভিতরেই হইচই শুরু করেন বিজেপি সদস্যরা । পরবর্তিতে ওয়াক আউট করেন তাঁরা ৷ সাম্প্রতিক অতীতে ঘটা একাধিক ঘটনার উল্লেখ করে পোস্টার তৈরি করেছেন বিজেপি সদস্যরা । রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা ।
এরপর বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি সাংবাদিকদের বলেন, "এই সরকারের শাসনে বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । একটি বিশেষ সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়কে ধর্মীয় আচরণে বাধা দিচ্ছে । এই কারণে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছে ।" পাশাপাশি, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি ।
অন্যদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "শতাংশের হিসেব দেখলে সবচেয়ে বেশি ভোট আমরা হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং জনজাতিদের পেয়েছি । আমরা যদি তাদের ধর্ম পালনে নিরাপত্তা দিতে না-পারি, তাদের কথা বিধানসভায় বলতে না-পারি, তাহলে কী মূল্য আছে আমাদের !" তিনি আরও বলেন, "শুধু হিন্দু নয় ৷ সংবিধান অনুযায়ী, যেকোনও সম্প্রদায়ের স্বাধীনতার সঙ্গে ধর্মীয় আচরণের অধিকার রয়েছে ।" এদিনের এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, "সংবিধান দিবস হিসেবে এই বিষয়গুলি আলোচনা হয়েছে । এখন নতুন করে আলোচনার অবকাশ নেই ৷"