জলপাইগুড়ি, 7 অক্টোবর: লোকালয়ে ঢুকে পড়া বুনো হাতির মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে । এটি স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি অস্বাভাবিক তা খতিয়ে দেখছে বন বিভাগ ।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার গাজোলডোবা সংলগ্ন দুধিয়া তিস্তার চর এলাকায় । হাতির মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের কর্মীরা । জানা গিয়েছে, বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজে তিস্তার চর এলাকায় প্রতিনিয়ত বুনো হাতি এসে থাকে । মাঝেমধ্যেই ঘরবাড়ি ভেঙে গ্রামে ঢুকে পড়ে হাতি । বন বিভাগ ও স্থানীয়রা হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে পাহারাও দিয়ে থাকেন ।
বেশ কিছুদিন ধরে হাতি দেখা না-মিললেও আজ সকাল হতেই দেখা যায় গাজলডোবা সংলগ্ন দুধিয়ার চর এলাকায় ধানের জমিতে একটি মাঝবয়স্ক হাতি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । হাতির মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে লোকজন ভিড় জমান ৷ গ্রামবাসীরাই বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগকে খবর দেন । বনদফতরের আধিকারিকরা যান ঘটনাস্থলে । মৃত্যুর কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এর আগেও, ধানের জমি বাঁচাতে সেখানে বিদ্যুতের বেড়া লাগিয়ে দেওয়ায় তড়িদাহত হয়ে ওই এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল । অবৈধভাবে এখনও থেকে যাওয়া কোনও বিদ্যুতের তার থেকে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, নাকি জমিতে দেওয়া রাসায়নিক সার খেয়ে, তা খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা । ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বেলাকোবা রেঞ্জের আধিকারিকরা । বনবিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে ।
দুধিয়ার চরের স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ তালুকদার জানান, "আজ সকালে দেখি বুনো হাতি মরে পড়ে রয়েছে । কীভাবে হাতির মৃত্যু হল বুঝতে পারছি না । এই এলাকায় প্রচুর হাতি আসে । বেশ কিছুদিন হাতি আসেনি । আজ হাতির মৃতদেহ দেখে আমরা অবাক । এর আগেও আশপাশে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ।"
স্থানীয় বাসিন্দা উদয় সরকার জানান, "দুধিয়ার চরে হাতি মারা গিয়েছে । এই এলাকায় হাতির উৎপাত আছে । প্রায় সময়েই আসে । হাতি ধান খায়, ঘরবাড়ি ভাঙে । এর আগেও ধান খেতের মধ্যে হাতি মারা গিয়েছিল ।"