ETV Bharat / state

নেই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, তবুও আচমকাই বজ্রপাতে প্রাণহানি মঙ্গলকোটে, কীভাবে সম্ভব ? - LIGHTNING WITHOUT CLOUD

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 11, 2024, 10:34 PM IST

lightning Without Clouds: কেন বিনা মেঘে বজ্রপাত ? পূর্ব বর্ধমানে সোমবার আচমকা বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠছে ৷ এনিয়ে বিশেষজ্ঞদের দাবি, মূলত বাতাসে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত গরমের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ৷

ETV BHARAT
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছাড়াও বজ্রপাত, কীভাবে সম্ভব ? (ফাইল চিত্র)

বর্ধমান, 11 জুন: এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত ৷ প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ ৷ পূর্ব বর্ধমানে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে 40-42 ডিগ্রির মধ্যে ৷ বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ 64% এর আশেপাশে রয়েছে ৷ আবহাওয়া দফতর সূত্রে আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি ৷ এরই মধ্যে হঠাৎ করে বাজ পড়ে বর্ধমানের মঙ্গলকোটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

হঠাৎ করে কীভাবে বাজ পড়ল ?

শুধু এই রাজ্যে নয় ৷ ইদানিং আচমকা বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা আশেপাশের রাজ্যেও বেড়েছে ৷ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণেই এই বাজ পড়ার ঘটনা ঘটছে ৷ একদিকে নির্বিচারে গাছ কাটা, পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনা ঘটছে ৷ অন্যদিকে, যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়ার ফলে যেভাবে দূষণ বেড়ে চলেছে, তার ফলে বাতাসের উষ্ণতা ও তার মধ্যে থাকা ধূলিকণা বাজ পড়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে ৷ আর সেই বজ্রপাতের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ৷

সেই ভাবেই সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে ৷ সোমবার বিকেলে বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা রুবিনা বিবি আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন ৷ মঙ্গলকোটের সাঁকোনা এলাকা দিয়ে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে বাইক থেকে পড়ে যান ৷ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ রুবিনার আত্মীয় শাহজাহান শেখ বলেন, "প্রচন্ড গরমে বৃষ্টির দেখা নেই ৷ রুবিনা মঙ্গলকোটে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিল ৷ হঠাৎ করে বাজ পড়লে সে ঝলসে যায় ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে ৷"

ওই একই সময় মঙ্গলকোটের কৈচর এলাকায় মাঠে গরু চড়ানোর সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বিজয় ঘোষ (52) এবং অজিত ঘোষের (55) ৷ ঘটনায় আহত হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রী হাসনাহারা খাতুন ৷ সে টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল ৷ একই সময়ে মঙ্গলকোটের ঠেঙাপাড়া গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় জিল্লাল মোল্লার (62) ৷ তিনি মাঠে চাষের কাজ করছিলেন ৷

জেলা কৃষি দফতরের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে বাজ ও বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটে ৷ আর এই মেঘ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যেই দেখা যায় ৷ তাপমাত্রা অতিরিক্ত বাড়লে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ৷ যার ফলে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয় ৷ শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড় হলে বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থেকে যায় ৷ সেই সঙ্গে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে ৷ সব মিলেমিশেই ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ার ঘটনা ঘটে থাকে ৷

বর্ধমান, 11 জুন: এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত ৷ প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ ৷ পূর্ব বর্ধমানে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে 40-42 ডিগ্রির মধ্যে ৷ বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ 64% এর আশেপাশে রয়েছে ৷ আবহাওয়া দফতর সূত্রে আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি ৷ এরই মধ্যে হঠাৎ করে বাজ পড়ে বর্ধমানের মঙ্গলকোটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

হঠাৎ করে কীভাবে বাজ পড়ল ?

শুধু এই রাজ্যে নয় ৷ ইদানিং আচমকা বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা আশেপাশের রাজ্যেও বেড়েছে ৷ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণেই এই বাজ পড়ার ঘটনা ঘটছে ৷ একদিকে নির্বিচারে গাছ কাটা, পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনা ঘটছে ৷ অন্যদিকে, যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়ার ফলে যেভাবে দূষণ বেড়ে চলেছে, তার ফলে বাতাসের উষ্ণতা ও তার মধ্যে থাকা ধূলিকণা বাজ পড়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে ৷ আর সেই বজ্রপাতের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ৷

সেই ভাবেই সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে ৷ সোমবার বিকেলে বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা রুবিনা বিবি আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন ৷ মঙ্গলকোটের সাঁকোনা এলাকা দিয়ে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে বাইক থেকে পড়ে যান ৷ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ রুবিনার আত্মীয় শাহজাহান শেখ বলেন, "প্রচন্ড গরমে বৃষ্টির দেখা নেই ৷ রুবিনা মঙ্গলকোটে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিল ৷ হঠাৎ করে বাজ পড়লে সে ঝলসে যায় ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে ৷"

ওই একই সময় মঙ্গলকোটের কৈচর এলাকায় মাঠে গরু চড়ানোর সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বিজয় ঘোষ (52) এবং অজিত ঘোষের (55) ৷ ঘটনায় আহত হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রী হাসনাহারা খাতুন ৷ সে টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল ৷ একই সময়ে মঙ্গলকোটের ঠেঙাপাড়া গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় জিল্লাল মোল্লার (62) ৷ তিনি মাঠে চাষের কাজ করছিলেন ৷

জেলা কৃষি দফতরের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে বাজ ও বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটে ৷ আর এই মেঘ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যেই দেখা যায় ৷ তাপমাত্রা অতিরিক্ত বাড়লে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ৷ যার ফলে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয় ৷ শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড় হলে বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থেকে যায় ৷ সেই সঙ্গে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে ৷ সব মিলেমিশেই ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ার ঘটনা ঘটে থাকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.