কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিলেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। গত সপ্তাহেই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা আরজি কর হাসপাতালের যান। সেখানের পরিচয়হীন মৃতদেহের হিসেব চান তাঁরা। তবে 2021 থেকে 2024 সালের হিসাব দেওয়া হলেও তার আগের হিসাব দিতে পারেনি হাসপাতাল।
আর এখানেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আকতার আলি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, আরজি কর হাসপাতাল থেকে দেহ পাচার করা হয়। সেই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সেই ঘটনায় সন্দেহ হয় সিবিআইয়ের। পাশাপাশি হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বর্জ্যপদার্থ বাইরের দেশে পাচার হয়, সেই অভিযোগও তোলেন আকতার আলি। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা সেই সম্পর্কেও তথ্য পান। জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর না-মেলায় অবশেষে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে।
9 অগস্ট সকালে সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। আরও পরে পুরো ঘটনা তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের কাছে ৷ মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে আরজি করে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে আবাসিক চিকিৎসক থেকে পড়ুয়া, সকলেরই অন্যতম দাবি ছিল সন্দীপের অপসারণ কিংবা পদত্যাগ।
আন্দোলনের চাপে পড়ে গত 12 অগস্ট পদত্যাগ করেন সন্দীপ। স্বাস্থ্য দফতরে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমাও দেন। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপকে কলকাতার অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেখান থেকেও তাঁর অপসারণের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। এর মাঝেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সন্দীপকে ছুটিতে যেতে। সেই থেকে ছুটিতেই ছিলেন সন্দীপ। এদিকে, আজ সন্দীপ ফের সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স সিবিআই দফতরে আসে। সোমবার ছিল তার 15তম হাজিরার দিন। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবশেষে দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে ৷