কলকাতা, 27 মে: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাতভোর বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর কলকাতা ৷ জেলাজুড়েও বৃষ্টির বিরাম নেই ৷ আকাশের মুখ ভার। যেন দিন দুপুরেই সন্ধ্যা নেমে এসেছে! রাস্তাঘাটে জল জমে সপ্তাহের প্রথম দিন জনজীবন কার্যত থমকে গিয়েছে ৷ সড়ক এবং রেল পরিষেবা বিঘ্নিত। বাদ যায়নি মেট্রো রেল পরিষেবাও। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কবে কাটবে দুর্যোগের মেঘ? উত্তল দিল হাওয়া অফিস ৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইতিমধ্যে দূর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এরপর এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘণ্টায় তার গতিবেগ থাকবে মোটামুটি 70 কিলোমিটার। বিকেলের মধ্যে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল বর্তমানে আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং পশ্চিমবাংলার উপকূলবর্তী অংশে রেমাল অবস্থান করলেও গত 6 ঘণ্টায় 15 কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জল থইথই মহানগর, বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় রেমাল 22.8 ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং 89.3 ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় বাংলাদেশের মোঙলা থেকে 40 কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে অবস্থান করছে। কলকাতা থেকে 90 কিলোমিটার পূর্বে, ক্যানিং থেকে 90 কিলোমিটার উত্তর পূর্বে, বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে 130 কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ও ঢাকা থেকে 140 কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। রেমাল আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ এরপর তা শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে সোমবার বিকেলের পর।
রাত 11টা থেকে 1টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফলের কারণে দিকে দিকে উপরে গিয়েছে বড় বড় গাছ ৷ বৃষ্টির কারণে সমুদ্রে মারাত্মক ঢেউ নজরে পড়েছে ৷ সারাদিন ধরেই বৃষ্টি হয়ে চলেছে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়াও বইছে। দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুরে।
আরও পড়ুন: সাগর-সহ জেলাজুড়ে রেমালের তাণ্ডব, ভাঙল গাছ-দোকান; দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ