কলকাতা, 31 মে: বর্ষা এল দেশে! পূর্বাভাস মতোই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ 30 মে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে, যা বাংলায় বর্ষার আগমনের জোরালো ইঙ্গিত বলে মনে করছে হাওয়া অফিস ৷ শনিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷
শুক্রবারও ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতায়। শনিবার রাত থেকেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো শুক্রবারও দিনভর বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা ৷
হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, আজ অর্থাৎ শুক্রবার উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা ৷ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই দিনাজপুর এবং মালদাতে। দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে দুই মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস ৷
আগামিকাল, 1 জুনও উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই দিনাজপুর এবং মালদাতে। দক্ষিণবঙ্গে আগামীকাল ভোটের দিন বঙ্গ জুড়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস। দক্ষিনবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বের জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। 2 জুন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর প্রবেশের কারণেই ভালো রকম বৃষ্টি হবে। তবে, দক্ষিণবঙ্গে রবিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। তিন, চার এবং পাঁচ জুন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি পরিস্থিতি থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে সিকিম-সহ হিমালয়ের পাদদেশের অংশে বর্ষা প্রবেশ করবে। তবে, গাঙ্গেয় বঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগে বর্ষা প্রবেশের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। যদি পরিস্থিতি আরও অনুকূল হয়, তাহলে বর্ষা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রবেশ করতে পারে। এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত উত্তরপূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে পশ্চিম বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্মৃত, যা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, দক্ষিণ বিহার এবং হিমালয়ের পাদদেশের ওপরে অবস্থান করছে । তার ওপর কেরলে বর্ষা প্রবেশের পরে তা উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। ফলে নাগাল্যাণ্ড, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচলপ্রদেশ, এবং ত্রিপুরার বৃহত্তর অংশে বর্ষা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।