কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: বিটি রোডের যানজট কমাতে এবার বরানগর থেকে রো রো পরিষেবা চালু করবে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ফলে যানজট এড়িয়ে জলপথে আরও কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে চারচাকা গাড়ি থেকে বাস ও ট্রাক। হুগলি নদীতে এমন 6টি রো রো পরিষেবার চালু করছে জলপথ পরিবহণ নিগম। 1000 কোটি খরচে আধুনিক হবে জলপথ পরিবহণ ৷ মঙ্গলবার একথা জানান, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
এদিন পরিবহন দফতরের ময়দান তাঁবুতে একটি বৈঠক হয় ৷ তারপই তিনি রো রো পরিষেবার কথা জানান ৷ বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এদিন একাধিক বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে মূল বিষয় ছিল জলপথ পরিবহণ। পৌর আইনে বলা আছে, হুগলি নদীর দুই পাড়ে যে পৌরসভাগুলো আছে সেখানে যে সমস্ত জেটি রয়েছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব পৌরসভাগুলিরই।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পৌরসভাগুলো ওই জেটিগুলো থেকে আয় করলেও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। অথচ নতুন লঞ্চ নামানো থেকে জেটি আধুনিকীকরণ সবটাই পরিবহণ দফতর করে থাকে। সেই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। কলকাতা, হাওড়া-সহ একাধিক মিউনসিপ্যালিটির প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে ছিলেন। এদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, "700 কোটি টাকা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের থেকে নিচ্ছি। 300 কোটি রাজ্য দেবে। 1000 কোটিতে রায়চক থেকে ত্রিবেণী পর্যন্ত জলপথ পরিবহণ আমূল সংস্কার করা হবে।"
এরপর তিনি বলেন, "2026 সালের মধ্যেই এই কাজ শেষ করা হবে। 29টি নতুন জেটি তৈরি করে ফেলেছি। আরও 16টি হবে। নতুন ভেসেল নামিয়েছি। হাওড়া-সহ বেশ কয়েকটি টার্মিনাল জেটি বানানো হবে। সেটা এক্কেবারে বিমানবন্দরের আদলে হবে। থাকবে ক্যাফে, টয়লেট, ওয়েইং রুম। এমনকী তার লাগোয়া মিউনিসিপ্যাল এরিয়া 500 মিটার সাজানো হবে। কোথাও বহু পুরনো জেটি থাকলে আধুনিকীকরণ করা হবে। চালু করা হচ্ছে রো রো সার্ভিস। বরানগর থেকে শুরু হবে। ওদিকে রায়চক ও কোলাঘাটের মধ্যে এই সার্ভিস চালু হবে। 180 কিলোমিটার ঘিরে যেতে হয় এখন। এই পরিষেবা চালু হলে দূরত্ব অনেকটাই কমবে।
আরও পড়ুন: