ETV Bharat / state

এক হাজার স্কুলে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত স্কুল শিক্ষা দফতরের - SOLAR PANELS FOR GOVT SCHOOLS

রাজ্যের এক হাজার স্কুলে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত নিল স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ স্কুলগুলিতে বিদ্যুতের বিল কমাতে এই সিদ্ধান্ত ৷

solar panel
স্কুলে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 7, 2024, 7:35 PM IST

কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: পরিবেশ বান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবার স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ রাজ্যের প্রায় 1 হাজার স্কুলে বসানো হচ্ছে সৌর প্যানেল। জেলাভিত্তিক ভাগ করে নেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। স্কুল শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত ডিআই-দের এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে ৷ যাতে তাঁরা এলাকা ভিত্তিক পরিদর্শন করে একটি তালিকা প্রস্তুত করতে পারে। মূলত স্কুলগুলিতে বিদ্যুতের প্রবল খরচ নিয়ন্ত্রণে আনতে এই পরিকল্পনা স্কুল শিক্ষা দফতরের ৷ পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৷

এর জন্য বেশ কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করছে ডিআই অফিস। কারণ সোলার প্যানেল বসানোর জন্য প্রায় হাজার স্কোয়ার ফুটে মত ছাদ প্রয়োজন। যেখানে কোন ছায়া পড়বে না। পাশাপাশি স্কুলের দক্ষিণ দিকে কোন বড় গাছ বা বাড়ি থাকা চলবে না। ছাদে যাতে উপযুক্ত কংক্রিট নির্মাণ থাকতে হবে ৷ ছাদে যাতায়াত করার মত স্থায়ী সিড়ির প্রয়োজন ৷ এছাড়াও সৌর প্যানেল পরিষ্কার করার জন্য ছাদে জলের সরবরাহ প্রয়োজন। এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। তারপরেই হাজারটি স্কুলে সোলার প্যানেল বসানো হবে।

এখনও পর্যন্ত উত্তর 24 পরগনায় সব থেকে বেশি স্কুলে এই সৌর প্যানেল বসানো হবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেখানে 103টি স্কুলে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়াও দক্ষিণ 24 পরগনায় 88টি, পূর্ব মেদিনীপুরে 75টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে 72টি, হুগলিতে 68টি এবং কলকাতায় 44টি স্কুলে সৌর প্যানেল বসানো হবে ৷ কোন কোন স্কুলে বসানো হবে, সেই নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে ডিআই অফিস ৷

স্কুল শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি। নারায়ণ দাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান, "আমাদের প্রত্যেক মাসে বিদ্যুৎ বিলের জন্য 12 থেকে 15 হাজার টাকা খরচ হয়। গরমকালে যা অনেকটা বেড়ে যায়। এছাড়াও আবহাওয়া তারতম্যের জন্য এখন অধিকাংশ স্কুলেই বসানো হয়েছে ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন। ফলে সেখানেও বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। তাই, স্কুল শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী।"

তবে শুধু সৌর প্যানেল বসানোই নয়, তার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সেই প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন গরাই বলেন, "বিষয়গুলি অবশ্যই ভালো। কিন্তু সৌর প্যানেল বসানোর পর সবথেকে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রক্ষণাবেক্ষণ। অতিরিক্ত উৎপাদন করা শক্তি যাতে স্কুলগুলির কাজে ব্যবহার করা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সৌর প্যানেল ঠিকমতো ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সৌর প্যানেলগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে কি না, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।"

কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: পরিবেশ বান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবার স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ রাজ্যের প্রায় 1 হাজার স্কুলে বসানো হচ্ছে সৌর প্যানেল। জেলাভিত্তিক ভাগ করে নেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। স্কুল শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত ডিআই-দের এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে ৷ যাতে তাঁরা এলাকা ভিত্তিক পরিদর্শন করে একটি তালিকা প্রস্তুত করতে পারে। মূলত স্কুলগুলিতে বিদ্যুতের প্রবল খরচ নিয়ন্ত্রণে আনতে এই পরিকল্পনা স্কুল শিক্ষা দফতরের ৷ পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৷

এর জন্য বেশ কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করছে ডিআই অফিস। কারণ সোলার প্যানেল বসানোর জন্য প্রায় হাজার স্কোয়ার ফুটে মত ছাদ প্রয়োজন। যেখানে কোন ছায়া পড়বে না। পাশাপাশি স্কুলের দক্ষিণ দিকে কোন বড় গাছ বা বাড়ি থাকা চলবে না। ছাদে যাতে উপযুক্ত কংক্রিট নির্মাণ থাকতে হবে ৷ ছাদে যাতায়াত করার মত স্থায়ী সিড়ির প্রয়োজন ৷ এছাড়াও সৌর প্যানেল পরিষ্কার করার জন্য ছাদে জলের সরবরাহ প্রয়োজন। এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। তারপরেই হাজারটি স্কুলে সোলার প্যানেল বসানো হবে।

এখনও পর্যন্ত উত্তর 24 পরগনায় সব থেকে বেশি স্কুলে এই সৌর প্যানেল বসানো হবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেখানে 103টি স্কুলে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়াও দক্ষিণ 24 পরগনায় 88টি, পূর্ব মেদিনীপুরে 75টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে 72টি, হুগলিতে 68টি এবং কলকাতায় 44টি স্কুলে সৌর প্যানেল বসানো হবে ৷ কোন কোন স্কুলে বসানো হবে, সেই নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে ডিআই অফিস ৷

স্কুল শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি। নারায়ণ দাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান, "আমাদের প্রত্যেক মাসে বিদ্যুৎ বিলের জন্য 12 থেকে 15 হাজার টাকা খরচ হয়। গরমকালে যা অনেকটা বেড়ে যায়। এছাড়াও আবহাওয়া তারতম্যের জন্য এখন অধিকাংশ স্কুলেই বসানো হয়েছে ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন। ফলে সেখানেও বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। তাই, স্কুল শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী।"

তবে শুধু সৌর প্যানেল বসানোই নয়, তার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সেই প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন গরাই বলেন, "বিষয়গুলি অবশ্যই ভালো। কিন্তু সৌর প্যানেল বসানোর পর সবথেকে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রক্ষণাবেক্ষণ। অতিরিক্ত উৎপাদন করা শক্তি যাতে স্কুলগুলির কাজে ব্যবহার করা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সৌর প্যানেল ঠিকমতো ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সৌর প্যানেলগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে কি না, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.