কলকাতা, 11 জুন: শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন এসেছে ৷ এবার পরিবর্তন এল রিপোর্ট কার্ডেও ৷ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আলাদা রিপোর্ট কার্ডের পরিবর্তে একটি বই দেওয়া হবে ৷ যেখানে পড়ুয়াদের প্রতিটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ থাকবে ৷ আগামিদিনে পড়ুয়াদের আরও উন্নতমানের শিক্ষা দিতেই এই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন সমগ্র শিক্ষা মিশনের ।
দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠতে যে সমস্তগুণ থাকা প্রয়োজন সবকিছুরও বিষয়ে উল্লেখ থাকবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রিপোর্ট কার্ডে । এটিকে রিপোর্ট কার্ডের বদলে বলা হয়েছে 'সার্বিক প্রগতি নিদর্শন পত্র'। নতুন এই রিপোর্ট বইতে লেখা থাকবে পড়ুয়ার আধার নম্বর এবং বাবা মায়ের নামও। নয়া এই পদ্ধতিতে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষা দফতর ও সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা ।
এই প্রসঙ্গেই, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানান, একজন ছাত্র-ছাত্রীর সামগ্রিক বিকাশের জন্য এই ভাবনা । এই রিপোর্ট বুক দেখলে সহজেই বোঝা যাবে, একজন পড়ুয়ার বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য আচরণের বিকাশ কীভাবে হচ্ছে ৷ সেই সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণিতে কীরকম ফলাফল হয়েছিল, পরবর্তী ক্লাসে পড়াশোনার মান কতটা উন্নত করতে হবে, সেই বিষয়েও উল্লেখ করা হবে ৷ রিপোর্টবুকে আগের ক্লাসের মূল্যায়নের মান উল্লেখ থাকায় পডুয়া বুঝতে পারবে তাদের কতটা উন্নতি করতে হবে ৷
তবে এই রিপোর্ট কার্ডকে সাধুবাদ জানালেও সমস্যায় পড়েছেন বহু শিক্ষকরাই। নারায়ণ দাস বাঙ্গুর মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, "রিপোর্ট কার্ড এবার থেকে রিপোর্ট বই হল তা খুবই ভালো । কিন্তু আমাদের এতদিন পরীক্ষা হতো বিভিন্ন নম্বরের ভিত্তিতে। ছোট ক্লাসেদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা রয়েছে। এটা ভুল নাকি অন্য কোনও পরিকল্পনা সেটা বুঝতে পারছি না।"
এই বিষয়ে শিক্ষা ভবনের এক আধিকারিক জানান, "মূল্যায়ণের বেশ কিছু বদল করা হয়েছে ৷ এই রিপোর্ট কার্ডটি গড়ে তোলার মূল ভাবনা হল একজন ছাত্র বা ছাত্রী সার্বিকভাবে গড়ে উঠতে পারছে কিনা তা দেখার।" পাশাপাশি তিনি আরও জানান, যদি কারও এই রিপোর্ট কার্ড হারিয়ে যায়, তাহলে স্কুল থেকেই বিনামূল্যে তাকে আরেকটি রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হবে।