হায়দরাবাদ, 20 জুন: তেলেঙ্গানা রাজভবনেও সাড়ম্বরে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস ৷ যাকে তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির একটি সুরেলা সংমিশ্রণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের বিভিন্ন বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল বলেও জানা গিয়েছে ৷
এদিন রাজভবনে বাঙালি শিল্পীরা শাস্ত্রীয় এবং লোকনৃত্য পরিবেশন করেন ৷ তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন এদিন হায়দরাবাদের রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল এবং পুদুচেরির উপরাজ্যপালের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন ৷
রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণন তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিনের সহাবস্থান এবং সাংস্কৃতিক সহবাসের প্রশংসা করেন ৷ তিনি স্বাধীনতার সময়, দর্শন, আধ্যাত্মিকতা, জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাঙালি ব্যক্তিত্ব অরবিন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপনে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা ৷ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি দৃঢ় আত্মীয়তার অনুভূতিকে আরও উৎসাহিত করেছে। আইআইসিটি'র বিজ্ঞানী সুতপা ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙালিকে এদিন সম্মান জানানো হয় ৷ হায়দরাবাদ বাঙালি সমিতির সভাপতি মৌসুমী চৌধুরী, সিএলআইসি-এর সহ-আহ্বায়ক এবং বঙ্গীয় সংস্কৃতি সংঘের সহ-সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্যকেও সম্মান জানানো হয় রাজভবনের তরফে ৷
রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সচিব বি ভেঙ্কটশাম-সহ রাজভবনের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরাও এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে হায়দরাবাদে বসবাসকারী অসংখ্য বাঙালির উৎসাহী অংশগ্রহণও দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতা রাজভবনেও এদিন পালিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস ৷ যদিও অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ অনুষ্ঠান চলাকালীন এদিন ভিডিয়ো বার্তায় নিজের বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল ৷ রাজভবনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছিল, রাজ্যপাল দেশের যে সব রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন হচ্ছে, সেই কাজে ব্যস্ত থাকায় সশরীরে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে পারেননি ৷