বাঁকুড়া, 29 অক্টোবর: আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে তালডাংড়ায় বড়সড় ভাঙন বিরোধী শিবিরে ৷ সিপিএম-বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় 200 জন ৷ অন্তত এমনটাই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ৷ আগামী 13 নভেম্বর রাজ্য়ের 6টি আসনে উপনির্বাচন ৷ এই মুহূর্তে সেদিকেই নজর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের ৷
সম্প্রতি, তালডাংরা বিধানসভার সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় ৷ শাসক শিবিরের স্থানীয় নেতাদের দাবি, এই অনুষ্ঠানে সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে প্রায় 200 জন কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷ আসন্ন উপনির্বাচনের আগে এই যোগদানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের ৷ অন্যদিকে, ভোটে জিতে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই এক চুল জায়গা ছাড়তে নারাজ । সেই কারণে, দুই পক্ষই জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছে জনসংযোগ প্রক্রিয়া । এই আবহে দলে ভাঙন অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলবে বিরোধী শিবিরকে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন অরুণ লোহার ৷ তাঁর কথায়, "বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না ৷ এমনকী, দলের জন্য কিছু করারও সুযোগ পাচ্ছিলাম না ৷ তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান ।" নরেন লোহার নামে আরেক যোগদানকারী জানান, তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তাঁর পছন্দ নয় ৷ বিষয়টি দলকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি ৷ তাই ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "বিজেপি দলটা বাংলার ভালো কিছু করেনি ৷ বরং, বাংলার ক্ষতি করছে ৷ শুধু তাই নয়, তালডাংরা বিধানসভায় যাঁরা বিজেপি করেছেন বা করছেন, তাঁদের আবেগে আঘাত করেছে দল ৷ উপনির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীকে মনোনিত না করে বহিরাগতকে প্রার্থী করেছে তারা । মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছে ।"
এদিকে, তৃণমূলের এই যোগাদানকে কটাক্ষ করেছেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল । তার দাবি, "ভোটের আবহে এই সব তৃণমূলের নাটক । ওরা আসলে তৃণমূলেরই ছিল ৷ বিজেপির কেউ তৃণমূলে যায়নি ।"