কলকাতা, 26 ডিসেম্বর: বাংলা ক্যালেন্ডারে পৌষ মাসে 10 দিন পার হলেও ঠান্ডার সেভাবে দেখা নেই। বঙ্গজুড়ে ঠান্ডা চুরি হয়ে যাওয়াতে শীতবিলাসীদের মন ভালো নেই। বড়দিনে রাজ্যজুড়ে উৎসবের আনন্দের উত্তাপ বেশি থাকলেও, ছিল ঠান্ডার অভাব। ডিসেম্বর মাস শেষ হতে আর মাত্র 5 দিন। কিন্তু সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ 17 থেকে 18 ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করছে ৷
আজ বৃহস্পতিবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। ভোরের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন। কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 26 ডিগ্রি এবং 17 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে খুব সকালে হালকা কুয়াশা ধোঁয়াশা পরে আংশিক মেঘলা আকাশ। আগামী 4 দিন তাপমাত্রার খুব একটা বড় পরিবর্তন নেই। শীতের আমেজ থাকলেও জাকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই কলকাতায়।
দক্ষিণবঙ্গে কোথাও আংশিক, কোথাও সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। উপকূল ও সংলগ্ন তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী 4 থেকে 5 দিনে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। হালকা কুয়াশা থাকবে ভোরের দিকে। বেলা বাড়লে কোথাও মেঘলা, কোথাও আবার পরিষ্কার আকাশ। পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে। এই বছরের বাকি দিনগুলিতে জাঁকিয়ে শীত ফেরার সম্ভবনা নেই।
উত্তরবঙ্গেও ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে ওপরের পাঁচ জেলায়। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে। অল্প কুয়াশা থাকবে উত্তরের বাকি জেলাগুলিতেও।
পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে রাজ্যে ৷ শুক্রবার অর্থাৎ 27 ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে আরও একটি ঝঞ্ঝা। জেডস্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থান সংলগ্ন এলাকায়। এর প্রভাবেই আটকে উত্তুরে হাওয়া। আংশিক বা সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। আগামীকাল শুক্রবার ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। শীতের আমেজ থাকলেও জাকিয়ে শীতের সম্ভাবনা কার্যত নেই। এই বছরের শেষ দু'দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ 14 থেকে 15 ডিগ্রির ঘরে ঢুকতে পারে।
বুধবার কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 18 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 3.5 ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 28.6 ডিগ্রি ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1 ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ 93 শতাংশ এবং সর্বনিম্ন 58 শতাংশ।