কলকাতা, 11 মার্চ: ফাল্গুন শেষের পথে ৷ বেলা বাড়লে রোদের তেজ যথেষ্ট থাকলেও বঙ্গজুড়ে এখনও অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডার শিরশিরানি ৷ সঙ্গে শুষ্কতার জেরে ত্বকে টান ভাব রয়ে গিয়েছে ৷ সবমিলিয়ে যা অবস্থা তাতে সাম্প্রতিক অতীতে বসন্তের এই লম্বা ইনিংস কবে দেখা গিয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে ৷ বসন্তের বর্ধিত এই স্পেলে অবাক হচ্ছেন আবহবিদরাও ৷ কিন্তু বঙ্গে দীর্ঘায়িত বসন্তের কারণ কী?
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পার্বত্য হিমালয়ে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উপস্থিত হচ্ছে। ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ঠান্ডা বাতাস পূর্ব ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে ক্রমাগত ৷ অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় থিতু না-হওয়ায় জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসের ঘাটতি পড়ছে। ফলে ঠান্ডা ভাব টের পাওয়া যাচ্ছে ভালোই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিরিশের ঘরে প্রবেশ করলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 20 ডিগ্রির নীচেই অবস্থান করছে ৷ হাওয়া অফিস বলে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়ির ডিগ্রির নীচে থাকলেই শিরশিরানি ঠান্ডা অনুভূত হয় এই রাজ্যে।
তবে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। যদিও তরাই কিংবা ডুয়ার্সে রাতে ঠান্ডার ভাব আরও বেশ কিছুদিন চলবে বলেই পূর্বাভাস। আলিপুর হাওয়া অফিস আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের জন্য দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, মোটের ওপর আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি বাড়বে। তবে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একইভাবে উত্তরবঙ্গেও আগামী পাঁচদিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার কলকাতা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 31.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1.3 ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 19 ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 2.7 ডিগ্রি কম। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল 85 শতাংশ। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন আকাশ পরিষ্কার-ই থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 32 ডিগ্রি এবং 19 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ৷
আরও পড়ুন: