কলকাতা, 23 জুলাই: জমি না-মেলায় শুরু করা যায়নি সিএনজির পাইপ লাইনের কাজ ৷ এবার সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে, শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজির সংকট কাটবে বলেই আশ্বাস দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ।
সিএনজি সরবরাহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছেন মালিক ও চালকরা। একাধিকবার বিক্ষোভ বা পথ অবরোধ করা হয়েছে। সিএনজি-র আকাল বন্ধ করতে হলে গ্যাস পাইপলাইনের যে ' হুক আপ পয়েন্ট' পর্যন্ত আসার কথা সেই কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। বর্তমানে পানাগড় পর্যন্ত গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের পাইপ লাইন এসে গিয়েছে ৷ কিন্তু তারপর জমি জটের জেরে কাজ আটকে ছিল। তবে এবার সেই জমি জট কেটেছে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট অংশের কাজ বাকি রয়েছে। সেই কাজ শেষ হলেই আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সিএনজি-র আকাল আর থাকবে না। দ্রুত সেই কাজ শেষের আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ৷
এই প্রসঙ্গে CITU অনুমোদিত কলকাতা ওলা উবের অ্যাপ-ক্যাব অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানান, যে সিএনজি সরবরাহ পর্যাপ্ত কারার কথা বলা হয়েছে। কারণ গ্যাসের সরবরাহ যদি 24 ঘণ্টা না-থাকে তবে এই সমস্যা থেকেই যাবে। অভিযোগ, পেট্রোল পাম্পগুলিকে বেসরকারি সংস্থার গাড়িগুলিকেও সুবিধা দেওয়া হয় ৷ ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ির খালি ট্যাংক নিয়েও অনেক চালক ফিরে আসেন ৷ এই সমস্য়া সমাধনের জন্য পরিবহণ দফতর 2 মাসের সময় চেয়েছে ৷ যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না-হয় তবে আবার আন্দোলন হবে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বৈঠকের একটি ইতিবাচক দিক হল অ্যাপ ক্যাপ সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এবার থেকে যেসব চালকরা আইডি ব্লক করবেন, তাদের নাম-সহ গাড়ির নম্বর এবং কেন আইডি ব্লক করা হয়েছে সমস্ত তথ্য নিয়মিত রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছে পাঠানো হবে। ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বারে বারে অ্যাপ ক্যাবে ভাড়া নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে বৈঠকে ৷