ETV Bharat / state

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পর্ষদের জালে 12, বাতিল হল পরীক্ষা

Examination of 12 students cancelled: 12 জন পরীক্ষার্থীর এবছরের পুরো মাধ্যমিক পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। পাশাপাশি, কীভাবে এই প্রশ্ন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কিউআর কোডের ব্যাবস্থা করেছে । প্রতিটি প্রশ্নের পাশেই রয়েছে এই কিউআর কোড ৷ তারপরও বারবার একই ধরনের অভিযোগ উঠছে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 3, 2024, 8:19 PM IST

কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: লাল কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েও রক্ষা মিলল না। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠল 12 পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পর্ষদের দাবি, মাধ্যমিকের ইংরাজি প্রশ্নের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় তারা। এনায়েতপুর হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে 452 জন। সেখানে সিট পড়েছে গোপালপুর হাই স্কুলের ছাত্রদের। তার মধ্যে থেকে 7 জন এবং ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের 4 জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও জলপাইগুড়িতে ময়নাগুড়ির আমগুড়ি রামমোহন হাই স্কুলের এক ছাত্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই 12 জন পরীক্ষার্থীর এবছরের পুরো মাধ্যমিক পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে।

এছাড়াও বর্ধমানের কাটোয়া 3 সেক্টরের শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠে পরীক্ষা দিচ্ছিল কাশীরাম দাস হাইস্কুলের ছাত্ররা। সেখানে একজন পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের বললার রাজকিশোরী হাই স্কুলের একজন এবং মালদহের পাঁচ কালিতলা হাইস্কুলের একটি ছাত্রের থেকেও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তাদেরও এদিনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

কীভাবে এই প্রশ্ন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাস খানের আগে থেকেই সোশাল মিডিয়ায় একটি গ্রুপ খোলা হয়। জানা গিয়েছে, সেখানেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই গ্রুপেই এদিন 10টায় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। সেই গ্রুপে সদস্য সংখ্যা শতাধিক। এমনকী এই গ্রুপের যে অ্যাডমিন সে নিজেও একজন পরীক্ষার্থী বলে জানা গিয়েছে। লুকিয়ে প্রশ্ন পাঠিয়ে দিলেই কোচিং সেন্টার থেকে চলে আসছে উত্তর। এই যাবতীয় সমস্ত তথ্য রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে।

এই তথ্য তুলে ধরার সময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেন। তিনি জানান, গয়েশ্বরী ভবন বিদ্যানিকেতন স্কুলের 24 জনকে কিছুদিন আগেই কোর্টের নির্দেশ এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফাইন দিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে এই পরীক্ষা শুরুর পর এই প্রশ্ন প্রকাশ্যে চলে আসার ঘটনাকে "উদ্দেশ্য প্রণোদিত" বলেই মনে করছেন পর্ষদ সভাপতি। প্রসঙ্গত, এই বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কিউআর কোডের ব্যাবস্থা করা হয়েছে । প্রতিটি প্রশ্নের পাশেই রয়েছে এই কিউআর কোড ৷ সেটি স্ক্যান করলেই বেরিয়ে যাবে কে এই প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু ইংরাজি প্রশ্নের ক্ষেত্রে এই কিউআর কোডকে লাল দাগ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না।

আরও পড়ুন

বাংলার পর ইংরেজি, পরীক্ষা শুরুর পরেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রশ্নপত্র

প্রশ্ন ফাঁসে কড়া পর্ষদ, বাতিল মালদার 2 মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা

কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: লাল কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েও রক্ষা মিলল না। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠল 12 পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পর্ষদের দাবি, মাধ্যমিকের ইংরাজি প্রশ্নের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় তারা। এনায়েতপুর হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে 452 জন। সেখানে সিট পড়েছে গোপালপুর হাই স্কুলের ছাত্রদের। তার মধ্যে থেকে 7 জন এবং ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের 4 জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও জলপাইগুড়িতে ময়নাগুড়ির আমগুড়ি রামমোহন হাই স্কুলের এক ছাত্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই 12 জন পরীক্ষার্থীর এবছরের পুরো মাধ্যমিক পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে।

এছাড়াও বর্ধমানের কাটোয়া 3 সেক্টরের শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠে পরীক্ষা দিচ্ছিল কাশীরাম দাস হাইস্কুলের ছাত্ররা। সেখানে একজন পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের বললার রাজকিশোরী হাই স্কুলের একজন এবং মালদহের পাঁচ কালিতলা হাইস্কুলের একটি ছাত্রের থেকেও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তাদেরও এদিনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

কীভাবে এই প্রশ্ন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাস খানের আগে থেকেই সোশাল মিডিয়ায় একটি গ্রুপ খোলা হয়। জানা গিয়েছে, সেখানেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই গ্রুপেই এদিন 10টায় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। সেই গ্রুপে সদস্য সংখ্যা শতাধিক। এমনকী এই গ্রুপের যে অ্যাডমিন সে নিজেও একজন পরীক্ষার্থী বলে জানা গিয়েছে। লুকিয়ে প্রশ্ন পাঠিয়ে দিলেই কোচিং সেন্টার থেকে চলে আসছে উত্তর। এই যাবতীয় সমস্ত তথ্য রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে।

এই তথ্য তুলে ধরার সময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেন। তিনি জানান, গয়েশ্বরী ভবন বিদ্যানিকেতন স্কুলের 24 জনকে কিছুদিন আগেই কোর্টের নির্দেশ এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফাইন দিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে এই পরীক্ষা শুরুর পর এই প্রশ্ন প্রকাশ্যে চলে আসার ঘটনাকে "উদ্দেশ্য প্রণোদিত" বলেই মনে করছেন পর্ষদ সভাপতি। প্রসঙ্গত, এই বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কিউআর কোডের ব্যাবস্থা করা হয়েছে । প্রতিটি প্রশ্নের পাশেই রয়েছে এই কিউআর কোড ৷ সেটি স্ক্যান করলেই বেরিয়ে যাবে কে এই প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু ইংরাজি প্রশ্নের ক্ষেত্রে এই কিউআর কোডকে লাল দাগ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না।

আরও পড়ুন

বাংলার পর ইংরেজি, পরীক্ষা শুরুর পরেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রশ্নপত্র

প্রশ্ন ফাঁসে কড়া পর্ষদ, বাতিল মালদার 2 মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.