ETV Bharat / state

প্রতিকূল আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মমতার - MAMATA BANERJEE STANDS BY FARMERS - MAMATA BANERJEE STANDS BY FARMERS

Mamata Banerjee on Bangla Shasya Bima: শস্য বিমার আওতায় থাকা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার ৷ বিষয়টি এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

Mamata Banerjee
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 12, 2024, 7:43 PM IST

কলকাতা, 12 জুন: লোকসভা ভোটের কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় এতদিন আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে থাকতে পারছিলেন না ৷ একথা নিজেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার ভোট মিটতেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কাজ শুরু করলেন তিনি ৷

বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, চলতি রবি মরশুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বহু কৃষকের চাষের কাজে ক্ষতি হয়েছে ৷ বাংলা শস্য বিমার আওতায় এবার তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া শুরু হল ৷ এদিন দু'টি পোস্টে তিনি লেখেন, "এটা অত্যন্ত আনন্দের যে আজ কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে 1 কোটি 5 লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে 2 হাজার 900 কোটি টাকা সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি আমরা 'বাংলা শস্য বীমা'র আওতায় সারা রাজ্যের 2 লক্ষ 10 হাজার কৃষককে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 293 কোটি টাকা আর্থিক সহায়তাও প্রদান শুরু করলাম ।"

তিনি আরও লেখেন, "চলতি রবি মরশুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যে সকল কৃষকের চাষের ক্ষতি হয়েছিল তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে । আমাদের সরকার 'বাংলা শস্য বিমা' চালু করার ফলে ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও আমাদের কৃষকরা এভাবেই আর্থিক ক্ষতির থেকে রক্ষা পাচ্ছেন । এজন্য তাদের কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না । শস্যবিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকাও রাজ্য সরকারই দিচ্ছে ।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণের খতিয়ানও তুলে ধরেন ৷ তিনি লেখেন, "2019 সালে চালু হওয়ার পর থেকে 'বাংলা শস্য বিমা' প্রকল্পে 1 কোটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে মোট 3 হাজার 133 কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে । কৃষকদের বিপদে কৃষকদের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত ।"

অন্য একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় কৃষক ও বর্গাদারদের সাহায্য করার কথা জানান ৷ তিনি লেখেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমাদের কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে আমরা রাজ্যজুড়ে কৃষক ও বর্গাদারদের প্রতিবছর খরিফ ও রবি মরসুমে চাষের সুবিধার জন্য যে সহায়তা প্রদান করি, তারই অঙ্গ হিসেবে এবারের আসন্ন খরিফ মরসুমের জন্য রাজ্যের 1 কোটি 5 লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে সহায়তা প্রদান আজ থেকে শুরু করা হল । তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মোট 2 হাজার 900 কোটি টাকা এই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে । এই বছরের শেষের দিকে রবি মরসুমের জন্যও একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে ।"

এই টাকা বছরে দু'টি কিস্তিতে কৃষকরা পাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, "কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের ও বর্গাদারদের বছরে দুই কিস্তিতে একর প্রতি 10 হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে । যাঁদের কম জমি আছে, তাঁরাও আনুপাতিক হারে (ন্যূনতম 4 হাজার টাকা) সহায়তা পান । 2019 সালে চালু হবার পর থেকে এই প্রকল্পে মোট 18 হাজার 234 কোটি টাকা আমরা আমাদের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি । এজন্য আমি গর্বিত !"

শুধু তাই নয়, 18 বছর থেকে 60 বছর বয়সের মধ্যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে 2 লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়ার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই খাতেও বাংলার প্রায় 1 লক্ষ 12 হাজার কৃষক পরিবার মোট 2 হাজার 240 কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে ।

এদিন কৃষকদের ক্ষতিপূরণের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে 1 কোটি 5 লক্ষ কৃষককে 2 হাজার 900 কোটি টাকা সাহায্য করা হয়েছে ৷ এই অর্থ সাহায্য মূলত ফসল বিমা যোজনা থেকেই দেওয়া হচ্ছে ।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে 293 কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হলেও সামগ্রিকভাবে এই প্রকল্পে 2019 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি কৃষক অর্থ সাহায্য পেয়েছেন । সে ক্ষেত্রে তাদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ 3 হাজার 133 কোটি টাকা ৷

কলকাতা, 12 জুন: লোকসভা ভোটের কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় এতদিন আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে থাকতে পারছিলেন না ৷ একথা নিজেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার ভোট মিটতেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কাজ শুরু করলেন তিনি ৷

বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, চলতি রবি মরশুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বহু কৃষকের চাষের কাজে ক্ষতি হয়েছে ৷ বাংলা শস্য বিমার আওতায় এবার তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া শুরু হল ৷ এদিন দু'টি পোস্টে তিনি লেখেন, "এটা অত্যন্ত আনন্দের যে আজ কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে 1 কোটি 5 লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে 2 হাজার 900 কোটি টাকা সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি আমরা 'বাংলা শস্য বীমা'র আওতায় সারা রাজ্যের 2 লক্ষ 10 হাজার কৃষককে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 293 কোটি টাকা আর্থিক সহায়তাও প্রদান শুরু করলাম ।"

তিনি আরও লেখেন, "চলতি রবি মরশুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যে সকল কৃষকের চাষের ক্ষতি হয়েছিল তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে । আমাদের সরকার 'বাংলা শস্য বিমা' চালু করার ফলে ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও আমাদের কৃষকরা এভাবেই আর্থিক ক্ষতির থেকে রক্ষা পাচ্ছেন । এজন্য তাদের কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না । শস্যবিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকাও রাজ্য সরকারই দিচ্ছে ।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণের খতিয়ানও তুলে ধরেন ৷ তিনি লেখেন, "2019 সালে চালু হওয়ার পর থেকে 'বাংলা শস্য বিমা' প্রকল্পে 1 কোটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে মোট 3 হাজার 133 কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে । কৃষকদের বিপদে কৃষকদের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত ।"

অন্য একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় কৃষক ও বর্গাদারদের সাহায্য করার কথা জানান ৷ তিনি লেখেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমাদের কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে আমরা রাজ্যজুড়ে কৃষক ও বর্গাদারদের প্রতিবছর খরিফ ও রবি মরসুমে চাষের সুবিধার জন্য যে সহায়তা প্রদান করি, তারই অঙ্গ হিসেবে এবারের আসন্ন খরিফ মরসুমের জন্য রাজ্যের 1 কোটি 5 লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে সহায়তা প্রদান আজ থেকে শুরু করা হল । তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মোট 2 হাজার 900 কোটি টাকা এই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে । এই বছরের শেষের দিকে রবি মরসুমের জন্যও একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে ।"

এই টাকা বছরে দু'টি কিস্তিতে কৃষকরা পাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, "কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের ও বর্গাদারদের বছরে দুই কিস্তিতে একর প্রতি 10 হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে । যাঁদের কম জমি আছে, তাঁরাও আনুপাতিক হারে (ন্যূনতম 4 হাজার টাকা) সহায়তা পান । 2019 সালে চালু হবার পর থেকে এই প্রকল্পে মোট 18 হাজার 234 কোটি টাকা আমরা আমাদের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি । এজন্য আমি গর্বিত !"

শুধু তাই নয়, 18 বছর থেকে 60 বছর বয়সের মধ্যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে 2 লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়ার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই খাতেও বাংলার প্রায় 1 লক্ষ 12 হাজার কৃষক পরিবার মোট 2 হাজার 240 কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে ।

এদিন কৃষকদের ক্ষতিপূরণের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে 1 কোটি 5 লক্ষ কৃষককে 2 হাজার 900 কোটি টাকা সাহায্য করা হয়েছে ৷ এই অর্থ সাহায্য মূলত ফসল বিমা যোজনা থেকেই দেওয়া হচ্ছে ।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে 293 কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হলেও সামগ্রিকভাবে এই প্রকল্পে 2019 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি কৃষক অর্থ সাহায্য পেয়েছেন । সে ক্ষেত্রে তাদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ 3 হাজার 133 কোটি টাকা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.