সন্দেশখালি, 23 ফেব্রুয়ারি: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে ফের অ্যাকশানে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ৷ 24 ঘণ্টার মধ্যেই বেড়মজুর গ্রামে পৌঁছে গেলেন তিনি ৷ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার আবেদন জানালেন ডিজি ৷ শুক্রবার সকালে তিনি সাফ বলেন, "আইন ভাঙলে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করা হবে ৷ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷" এদিন সকাল থেকেই বেড়মজুর গ্রামের কাছারি এলাকায় ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শনে নেমেছেন ৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে শাহজাহানের মেজো ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের ভেড়ির আলাঘরে ৷
এদিন রাজীব কুমার বলেন, "কারও বাড়ি ভাঙলে, তিনি আর কারও বাড়ি ভাঙবেন, এটা হতে পারে না৷ আমরা আইন প্রতিষ্ঠা করব ৷" এদিন সকালে বেড়মজুরে ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে গ্রামের মহিলারা সন্দেশখালির ধাঁচে জমি আন্দোলন শুরু করেন ৷ চলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ ৷ শুধু তাই নয়, সেই ক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতেও ৷ সেখানেও ক্ষিপ্ত জনতা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ চলে দরমার বেড়া দেওয়া বাড়িতে ভাঙচুরও ৷
সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতা ৷ তাঁকে দেখতে পেয়ে ঘর থেকে টেনে এনে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা উত্তম-মধ্যম দেন ওই তৃণমূল নেতাকে ৷ কোনওক্রমে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচেন অজিত মাইতি।
খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার ৷ তিনি গ্রামবাসীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন ৷ স্পষ্টত বলেন, "কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা পুলিশকে জানাতে হবে ৷ তা না করে আইন হাতে তুলে নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"
গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে এমনই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় পুলিশের শীর্ষকর্তাকে ৷ এরপর তিনি আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে ডেকে হামলাকারীদের নাম দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বলেন ৷ সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন ওই পুলিশ কর্তা ৷
আরও পড়ুন: