ETV Bharat / state

ট্যাংরা-কাণ্ডে দুই বধূ ও নাবালিকাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে! ইঙ্গিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টে - TANGRA TRIPPLE MURDER CASE

পারিবারিক গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ পূর্ব পরিকল্পনা করেই খুন, অনুমান পুলিশের ৷

Tangra Tripple Murder Case
ট্যাংরা-কাণ্ডে দুই বধূ ও নাবালিকাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে! ইঙ্গিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টে (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 20, 2025, 6:53 PM IST

কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দেহ ছড়াচ্ছিল ৷ খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সেই সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয় ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল সেই সন্দেহই কার্যত সত্যি হল ৷ খুনই করা হয়েছে ট্যাংরার রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও এক নাবালিকাকে ৷

বুধবার সকালে ট্যাংরা থানা এলাকার বাড়ি থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয় ৷ সেই তিনজন রোমি-সুদেষ্ণা ও এক নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয় বৃহস্পতিবার ৷ সেখানে ওই নাবালিকার শরীরে বিষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান (জয়েন্ট সিপি-ক্রাইম) রূপেশ কুমার ৷ তিনি বলেন, "ওই নাবালিকার শরীরে বিষ মিলেছে ।’’

কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী রোমির দুই হাতের কবজির শিরা কাটা ছিল ৷ তাঁর গলা বাঁদিক থেকে ডানদিকে কাটা হয় ৷ রোমির হাতের শিরা যখন কাটা হয়, তখন তিনি বেঁচেছিলেন ৷ সুদেষ্ণাকেও একইভাবে হত্যা করা হয় ৷

TANGRA TRIPPLE MURDER CASE
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি (ফাইল ছবি)

অন্যদিকে নিহত নাবালিকার বুক, দুই পা, ঠোঁট-সহ বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে । মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ পাকস্থলিতেও রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে ৷ এছাড়া পাকস্থলিতে সামান্য পরিমাণে আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবার, হলুদ ও সাদা দানাজাতীয় পদার্থ মিলেছে ৷ যার গন্ধ অনেকটা ওষুধের মতো ৷

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়াও ফরেনসিক তদন্তেও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার হয়েছে ৷ বেসিনে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷ ফলে তদন্তকারীদের অনুমান, ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় ৷ তার পর রক্তমাখা জামাকাপড় বাড়িতে রেখে সাফসুতরো হয়ে বেরিয়ে যান ৷

এখন প্রশ্ন হল, খুন কে করল ? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷ সন্দেহের তির প্রাথমিকভাবে দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দের উপরই রয়েছে ৷ কারণ, আত্মহত্যার যে তত্ত্ব বুধবার পুলিশকে দিয়েছিলেন এই দুই ভাই, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অনেকটাই ভুল বলেই মনে হচ্ছে ৷

TANGRA TRIPPLE MURDER CASE
দে পরিবারের বাড়ি (ফাইল ছবি)

বৃহস্পতিবার দে পরিবারের গাড়ির চালক কৈলাস দাসের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ৷ তার পরই তদন্তকারীদের ধারণা, পুরো ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পতি ৷ কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের কৈলাস কী জানিয়েছেন ? পুলিশ সূত্রে খবর, কৈলাস সোমবার শেষবার ডিউটিতে এসেছিলেন ৷ সকালে বাচ্চাদের স্কুলে ছেড়ে আসেন । পরে সন্ধ্যায় টিউশনে ছেড়ে আসতে যান তিনি । পরে তিনি বাড়ি চলে আসেন ।

কৈলাস আরও জানিয়েছেন পুলিশকে, মঙ্গলবার তাঁকে আসতে বারণ করা হয় ৷ কৈলাস সাড়ে 15 হাজার টাকা বেতন পেতেন ৷ সেই টাকা পেতেও এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ এছাড়া দে পরিবারের কারখানার কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলে আর্থিক অনটনের বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি ৷ ফলে ঋণের যে বিষয়টি বুধবার সামনে এসেছিল, সেটাও সঠিক নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷

কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দেহ ছড়াচ্ছিল ৷ খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সেই সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয় ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল সেই সন্দেহই কার্যত সত্যি হল ৷ খুনই করা হয়েছে ট্যাংরার রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও এক নাবালিকাকে ৷

বুধবার সকালে ট্যাংরা থানা এলাকার বাড়ি থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয় ৷ সেই তিনজন রোমি-সুদেষ্ণা ও এক নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয় বৃহস্পতিবার ৷ সেখানে ওই নাবালিকার শরীরে বিষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান (জয়েন্ট সিপি-ক্রাইম) রূপেশ কুমার ৷ তিনি বলেন, "ওই নাবালিকার শরীরে বিষ মিলেছে ।’’

কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী রোমির দুই হাতের কবজির শিরা কাটা ছিল ৷ তাঁর গলা বাঁদিক থেকে ডানদিকে কাটা হয় ৷ রোমির হাতের শিরা যখন কাটা হয়, তখন তিনি বেঁচেছিলেন ৷ সুদেষ্ণাকেও একইভাবে হত্যা করা হয় ৷

TANGRA TRIPPLE MURDER CASE
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি (ফাইল ছবি)

অন্যদিকে নিহত নাবালিকার বুক, দুই পা, ঠোঁট-সহ বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে । মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ পাকস্থলিতেও রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে ৷ এছাড়া পাকস্থলিতে সামান্য পরিমাণে আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবার, হলুদ ও সাদা দানাজাতীয় পদার্থ মিলেছে ৷ যার গন্ধ অনেকটা ওষুধের মতো ৷

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়াও ফরেনসিক তদন্তেও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার হয়েছে ৷ বেসিনে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷ ফলে তদন্তকারীদের অনুমান, ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় ৷ তার পর রক্তমাখা জামাকাপড় বাড়িতে রেখে সাফসুতরো হয়ে বেরিয়ে যান ৷

এখন প্রশ্ন হল, খুন কে করল ? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷ সন্দেহের তির প্রাথমিকভাবে দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দের উপরই রয়েছে ৷ কারণ, আত্মহত্যার যে তত্ত্ব বুধবার পুলিশকে দিয়েছিলেন এই দুই ভাই, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অনেকটাই ভুল বলেই মনে হচ্ছে ৷

TANGRA TRIPPLE MURDER CASE
দে পরিবারের বাড়ি (ফাইল ছবি)

বৃহস্পতিবার দে পরিবারের গাড়ির চালক কৈলাস দাসের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ৷ তার পরই তদন্তকারীদের ধারণা, পুরো ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পতি ৷ কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের কৈলাস কী জানিয়েছেন ? পুলিশ সূত্রে খবর, কৈলাস সোমবার শেষবার ডিউটিতে এসেছিলেন ৷ সকালে বাচ্চাদের স্কুলে ছেড়ে আসেন । পরে সন্ধ্যায় টিউশনে ছেড়ে আসতে যান তিনি । পরে তিনি বাড়ি চলে আসেন ।

কৈলাস আরও জানিয়েছেন পুলিশকে, মঙ্গলবার তাঁকে আসতে বারণ করা হয় ৷ কৈলাস সাড়ে 15 হাজার টাকা বেতন পেতেন ৷ সেই টাকা পেতেও এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ এছাড়া দে পরিবারের কারখানার কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলে আর্থিক অনটনের বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি ৷ ফলে ঋণের যে বিষয়টি বুধবার সামনে এসেছিল, সেটাও সঠিক নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.