ETV Bharat / state

দ্বিতীয় দিন ধরনায় সায়ন্তিকা-রেয়াত ! জট কাটাতে প্রাক্তন রাজ্যপালকে ফোন অধ্যক্ষ বিমানের - Biman Banerjee dials Vice President

author img

By PTI

Published : Jun 28, 2024, 6:32 PM IST

MLAs Oath Taking Row: নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক দ্বিতীয় দিন বিধানসভায় ধরনায় বসলেন ৷ এদিকে রাজভবনে না গেলে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এই সমস্যার মাঝে নিরূপায় হয়ে প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনকড়কে ফোন করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

TMC MLAs Oath Taking Row
সায়ন্তিকা ও রেয়াতের ধরনা (ছবি সৌজন্য: সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশাল মিডিয়া)

কলকাতা, 28 জুন: শপথ নেওয়ার জটিলতা কাটল না এদিনও ৷ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনও বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ধরনায় বসলেন নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন ৷ শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের সমাধানে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের হস্তক্ষেপ চাইলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিকে দুই বিধায়কের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশে ধরনাস্থলে পৌঁছলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ আরও অনেকে ৷

গতকালই এবিষয়ে সাহায্য চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লেখেন অধ্যক্ষ ৷ এবার এই সমস্যা সমাধানে উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের শরণাপন্ন হলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গত রাতে আমি উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেছিলাম ৷ তাঁকে এই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি ৷ তাঁকে এও জানিয়েছি যে, আমি এই শপথ ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছি ৷ শপথ নেওয়া নিয়ে বিধায়করা যা করছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয় ৷"

এদিন কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম বলেন, "তাঁরা মানুষের ভোটে জয়ী হয়েছেন ৷ বিজেপির ভোটে নয়, বা রাজ্যপালের ভোটে নয় ৷ তাহলে কেন গণতন্ত্রের মন্দির বিধানসভায় তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ হবে না ?"

বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক রেয়াত হোসেন রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে রাজি হননি ৷ এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দুই বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ৷ এমনকী রাজভবনে গিয়েই শপথ নেওয়ার বিষয়ে জোর দেন বিধায়কদের ৷ অন্যদিকে দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক বিধানসভায় ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ৷

এর মধ্যে বুধবার, 26 জুন শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজভবনে না-গিয়ে বিধানসভায় অপেক্ষ করতে থাকেন ৷ অন্যদিকে রাজ্যপাল দুই বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষ করেন এবং পরে রাজভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান ৷

এরপর বৃহস্পতিবার, দুই বিধায়ক রাজ্য বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ধরনায় বসেন ৷ বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজভবনে যে ঘটনা ঘটেছে, তারপর মেয়েরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছে ৷" তাঁর এমন মন্তব্যে এই সংঘাত আরও তীব্র আকার নেয় ৷ এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও কড়া প্রতিক্রিয়া দেন ৷ এবার উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে ফোন করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ উল্লেখ্য উপ-রাষ্ট্রপতি ধনকড় 2019 সালের জুলাই থেকে 2022 সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন ৷

কলকাতা, 28 জুন: শপথ নেওয়ার জটিলতা কাটল না এদিনও ৷ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনও বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ধরনায় বসলেন নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন ৷ শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের সমাধানে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের হস্তক্ষেপ চাইলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিকে দুই বিধায়কের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশে ধরনাস্থলে পৌঁছলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ আরও অনেকে ৷

গতকালই এবিষয়ে সাহায্য চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লেখেন অধ্যক্ষ ৷ এবার এই সমস্যা সমাধানে উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের শরণাপন্ন হলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গত রাতে আমি উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেছিলাম ৷ তাঁকে এই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি ৷ তাঁকে এও জানিয়েছি যে, আমি এই শপথ ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছি ৷ শপথ নেওয়া নিয়ে বিধায়করা যা করছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয় ৷"

এদিন কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম বলেন, "তাঁরা মানুষের ভোটে জয়ী হয়েছেন ৷ বিজেপির ভোটে নয়, বা রাজ্যপালের ভোটে নয় ৷ তাহলে কেন গণতন্ত্রের মন্দির বিধানসভায় তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ হবে না ?"

বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক রেয়াত হোসেন রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে রাজি হননি ৷ এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দুই বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ৷ এমনকী রাজভবনে গিয়েই শপথ নেওয়ার বিষয়ে জোর দেন বিধায়কদের ৷ অন্যদিকে দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক বিধানসভায় ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ৷

এর মধ্যে বুধবার, 26 জুন শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজভবনে না-গিয়ে বিধানসভায় অপেক্ষ করতে থাকেন ৷ অন্যদিকে রাজ্যপাল দুই বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষ করেন এবং পরে রাজভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান ৷

এরপর বৃহস্পতিবার, দুই বিধায়ক রাজ্য বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ধরনায় বসেন ৷ বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজভবনে যে ঘটনা ঘটেছে, তারপর মেয়েরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছে ৷" তাঁর এমন মন্তব্যে এই সংঘাত আরও তীব্র আকার নেয় ৷ এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও কড়া প্রতিক্রিয়া দেন ৷ এবার উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে ফোন করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ উল্লেখ্য উপ-রাষ্ট্রপতি ধনকড় 2019 সালের জুলাই থেকে 2022 সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.