কলকাতা, 26 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৷ কিন্তু সেখানে দেহ রেখে দিয়েই একাধিক ব্যক্তি বৈঠক করেছিলেন গত কয়েকদিনে বারবার অভিযোগ উঠেছে ৷ এবার গত 9 অগস্ট সকালের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ সেই ভিডিয়োতে অনেককে দেখা যাচ্ছে ৷ প্রশ্ন উঠেছে, ঘটনার পর ওই সেমিনার রুমে কী হচ্ছিল ?
কারণ, যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সেমিনার রুমের ভিতর রয়েছেন বহু মানুষ । তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেবাশিস সোম । যাকে একাধিকবার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বসতে হচ্ছে । এছাড়াও রয়েছেন আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পিএ প্রসূন চট্টোপাধ্যায় এবং আইনজীবী শান্তনু দে ৷ তাঁরা সেদিন ওখানে কেন ছিলেন, সেই প্রশ্নই এখন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ৷ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ।
এছাড়াও ওই ঘটনা ঘটার পর পুলিশ কেন ঘটনাস্থল সিল করল না, এই ভিডিয়ো দেখার পর সেই প্রশ্নও তুলছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা । জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্যদীপ রায় বলেন, "ওটাই ক্রাইম স্পট । তাহলে ওই দিন অতজন মানুষ মিলে ওখানে কী করছিলেন ? ওখানে অনেক চিকিৎসকই যেতে পারেন ৷ কিন্তু কেন যাবেন ? কোথাও কি তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল ? এই বিষয়গুলোকে অতিঅবশ্যই তদন্তের মধ্যে আনা উচিত । এমনকি এই ভিডিয়োটাও খতিয়ে দেখা উচিত ।"
যদিও এর আগে ইটিভি ভারতের কাছে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বিশ্বাস বৈঠকের কথা জানিয়েছেন । তিনি জানিয়েছিলেন, ওই দিন ঘটনা ঘটার পরে সেমিনার রুমে সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও কিছুজন মিলে একটি বৈঠক করা হয়েছিল । এমনকি তাঁর দাবি ছিল, ওই বৈঠক করার জন্যই নির্যাতিতার দেহ মা-বাবাকে দেরিতে দেখতে দেওয়া হয়েছিল ।
কিন্তু এবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রশ্ন, প্রায় 20-30 জনের বেশি দেখা যাচ্ছে সেখানে । তাহলে বাবা-মাকে কেন দেরিতে দেখতে দেওয়া হল ? কী ঘটছিল ওখানে ?