কলকাতা, 23 নভেম্বর: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ৷ ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দক্ষিণ 24 পরগনা ঠাকুরপুকুরের বিদ্যাসাগর হাসপাতাল ৷ নার্সিং কর্মীদের মারধর ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হন । 22 জনকে এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ।
মৃত রোগীর নাম শেখ মেহমুদ আলম (30) ৷ তিনি ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে ৷ ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা ওই রোগীকে রাত 8টা 20 মিনিট নাগাদ হাসপাতালে আসেন । ইসিজি করিয়ে তাঁকে পেইন কিলার দেওয়া হয় । হাসপাতালে এসে তাঁর আরেকটি অ্যাটাক হয় । 8টা 40 মিনিট নাগাদ আরেকটি সিপিআর দেওয়া হয় । তাতে লাভ হয়নি । 8টা 50 মিনিট নাগাদ রোগীর মৃত্যু হয় ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে 10টা থেকে হাসপাতাল চত্বরে কয়েকশো মানুষের জমায়েত হয় । এর মধ্যে দেহ বাড়ির লোকের কাছে হস্তান্তর হয় । সেটি অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয় । এরপরেই রোগীর পরিজনরা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সমস্ত চিকিৎসার তথ্য চাইতে শুরু করে ।
হাসপাতাল জানায়, আদালতের অনুমতি ছাড়া এইভাবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি কাউকে দেওয়া সম্ভব নয় । তারপরেই তারা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় ও নার্সদের মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ পর্ণশ্রী ও ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে ৷ অভিযোগ, সেসময় পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয় ৷ তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন ৷
অভিযোগ, প্রায় 150 লোক ইমারজেন্সি অবজার্ভেশন ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে পড়ে । সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় । সেখানে থাকা দু'জন রোগীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালের তরফে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হয় । নার্সিং কর্মীদের গায়ে হাত তোলা হয় এবং বাইরের গেটেও ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ । বিদ্যাসাগর হাসপাতালে আলাদা করে কোনও কার্ডিওলজি বিভাগ নেই । সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রোগীর বাড়ির লোকেরা ৷