কলকাতা, 30 জুন: মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি (ম্যাকাউট)-এর রেজিস্ট্রার পদ ঘিরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। বর্তমান রেজিস্ট্রারকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৷ ফলে কে থাকবেন ওই পদে, তা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক ৷
উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, 62 বছরে অবসরের সুবিধা পাবেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু এরপরেও 60 বছর অতিক্রান্ত হওয়াতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে শুক্রবার চিঠি ধরানোর অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৷ রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ীকে শুক্রবার রেজিস্ট্র্রারের পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (ম্যাকাউট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য তাপস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
2019 সালের 1 এপ্রিল ম্যাকাউট-এর রেজিস্ট্রার পদে যোগ দিয়েছিলেন পার্থপ্রতিম লাহিড়ী। এই বছর 28 জুন তাঁর বয়স হয়েছে 60 ৷ যা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। কারণ, 2018 সালের উচ্চশিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তিনি 62 বছরে অবসর গ্রহণের সুবিধা পাবেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানতে চেয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। উচ্চশিক্ষা দফতর এই বিষয়ে আইনি পরামর্শও নেয় বলে খবর। সেই বিষয় গত 24 জুন ম্যাকাউট-র উপাচার্যকে চিঠিও দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে ৷
আইনি পরামর্শে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের অবসর সংক্রান্ত উচ্চশিক্ষা দফতরের দুটি বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা করে জানানো হয়েছে, দফতরের 2018 সালের 30 অগস্টের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে 62 বছরে অবসরগ্রহণের সুবিধা পাবেন পার্থপ্রতিমবাবু। অভিযোগ, তারপরেও শুক্রবার পার্থবাবুকে পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া জলঘোলা ৷
রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ীর অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তাঁর সঙ্গে এটা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "উচ্চশিক্ষা দফতর আইনি পরামর্শ উদ্ধৃত করে ব্যাখ্যা দিয়েছে, আমার 62 বছর বয়সে অবসর গ্রহণের কথা। উনি 60 বছরেই জোর করে অব্যাহতির চিঠি দিয়ে দিলেন ! উনি সরকারের থেকে বেতন নিয়ে সরকারের আদেশনামা বিরোধী কাজ করছেন। এই নির্দেশ সম্পূর্ণ বেআইনি।"
যদিও অন্তর্বর্তী উপাচার্য তাপস চক্রবর্তীর স্পষ্ট বক্তব্য, "উচ্চশিক্ষা দফতর স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। আইনি পরামর্শ দিয়েছে শুধুমাত্র। সঙ্গে সঙ্গেই আমি উত্তর দিয়ে বলেছিলাম, পার্থপ্রতিম লাহিড়ীর অবসর গ্রহণের বয়স 60 থেকে বাড়িয়ে 62 করা হয়েছে, এই মর্মে আমায় স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হোক। আমি সেই নির্দেশিকা এখনও পাইনি।”