ETV Bharat / state

বারাসতে সরকারি জমিতে শাসক-বিরোধী কার্যালয় ! কাঠগড়ায় প্রশাসন - Govt Land Occupation

Political Parties Office in Barasat: অদ্ভুত কাণ্ড ! বারাসতে সরকারি জমিতেই শাসক-বিরোধী পরপর কার্যালয় গড়ে ওঠার অভিযোগ । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়িত হচ্ছে কোথায় ? ফের উঠল প্রশ্ন ৷ কাঠগড়ায় পুর প্রশাসন ৷

Govt Land Occupation
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয় বারাসতে (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 20, 2024, 9:28 PM IST

বারাসত, 20 জুলাই: সরকারি জমি দখল করে একের পর এক দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ । কাঠগড়ায় শাসক থেকে বিরোধী উভয় দলই ৷ ঘটনাটি বারাসত পুরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের ৷ এখানে তৃণমূল কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে সিপিএমের মতো বিরোধী দলের কার্যালয়ের পাশাপাশি সহাবস্থান ৷

সরকারি জমিতে শাসক-বিরোধীর কার্যালয় গড়ার অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

যদিও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নীলিমা মণ্ডল বলেন, "এই জমির চরিত্র'র বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই । কারণ সবে দু'বছর হয়েছে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি আমি । তাই এ নিয়ে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারব না ।"

এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিচ্ছেন ঠিকই ! কিন্তু সেই নির্দেশ কি আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে সব জায়গায় ? অন্তত উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতের ছবিটা আদৌ তা বলছে না । অভিযোগ, পুর প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর সরকারি জমিতে শাসক এবং বিরোধী দলের কার্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পার্টি অফিসগুলিতে রমরমিয়ে চলছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ৷ এই অবস্থায় স্বভাবতই, প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা ৷

Govt Land Occupation
বারাসতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় (নিজস্ব ছবি)

আইএনটিইউসি-র বারাসত জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি অতনু ঘোষ বলেন, "সাধারণ মানুষের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাই আমাদের সকলের উচিত সেই নির্দেশ মেনে চলা ৷ আর পার্টি অফিসটি তৈরির একটা ইতিহাস রয়েছে ৷ ওখানে কাউন্সিলরদের বসার কোনও জায়গা ছিল না ৷ আমিই উদ্যোগ নিয়ে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করি ৷ পরবর্তীকালে ওখানে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস তৈরি হয় ৷ যেটা পুরসভার জমিতে রয়েছে । তৃণমূল কার্যালয় হলেও ওই অফিস থেকে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেন স্থানীয় কাউন্সিলর । 34 বছরে সিপিএম অনেক জমি দখল করে ছিল নিজেদের স্বার্থে । নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই সমান । শুধু তৃণমূলের বেলায় নিয়ম । বাকিদের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হবে না, সেটা যেন না হয় ৷"

Govt Land Occupation
বারাসতে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় (নিজস্ব ছবি)

তবে আগেও বারাসতে সরকারি জমি দখল করে তাঁর উপর কংক্রিটের পার্টি অফিস গড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ তখন নাম জড়িয়েছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের । সেটা ছিল বারাসত পুরসভার 26 নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলার ঘটনা ৷ সেই খবর সবার প্রথমে তুলে ধরেছিল ইটিভি ভারত‌ । খবরের জেরে শাসকদলের পার্টি অফিসে সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে জমি জরিপের কাজও শুরু করেছিলেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা ৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সামনে এল এই কাণ্ড‌ । যেখানে সরকারি জমিতে পরপর গজিয়ে উঠেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিএমের পার্টি অফিস ৷ এই ঘটনাটি অবশ্য বারাসত পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের ৷

Govt Land Occupation
বারাসতে ফরওয়ার্ড ব্লকের দলীয় কার্যালয় (নিজস্ব ছবি)

এই বিষয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা অরুণকুমার দেবনাথ বলেন, "বিধান পার্কে কংগ্রেসের পার্টি অফিসটি সরকারি জমির মধ্যে নেই ৷ বহু বছর আগে ওখানে ফাঁকা জমি ছিল ৷ সেই জমির পাশেই পার্টি অফিসটি গড়ে তোলা হয়েছে ৷ তবে কার জমি সেটা সঠিকভাবে বলতে পারব না । এটুকু জানি সরকারি জমিতে পার্টি অফিসে পড়ে ওঠেনি ৷"

অন‍্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পুরসভার থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা আমাদের পার্টি অফিস চালু করেছি ৷ পৌর আইন অনুয়ায়ী কোনও জায়গায় ছাদ দিতে গেলে পৌরসভার অনুমতি লাগে ৷ কিন্তু শেডের ক্ষেত্রে লাগে না ৷ ওখানে যতগুলি পার্টি অফিস রয়েছে, কারও চালে ছাদ নেই । শেড রয়েছে । তা সত্ত্বেও পুরসভা কিংবা সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় । সেটা তো সকলকেই মানতে হবে ৷ আলোচনা করতে চাইলে আমরা তাতে সহযোগিতা করব ৷"

একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খানের গলাতেও । তিনি বলেন, "সরকারি কিংবা অন্য কারও জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করার অনুমোদন দেয় না পার্টি ৷ যদি কোথাও এরকম হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে ! এই তো বিষয় । সিপিএম পার্টি কখনই অন‍্যায়কে প্রশয় দেয় না ৷"

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধান পার্ক এলাকায় রাস্তার পাশে পৌরসভার নিজস্ব জমি রয়েছে । সেই জমি দখল করেই গড়ে উঠেছে শাসক ও বিরোধী দলের একের পর এক কার্যালয় । এর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো পার্টি অফিসটি হল কংগ্রেসের । যেটি গড়ে উঠেছে 1995 সালে । তৎকালীন কংগ্রেস নেতা ও বর্তমানে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়ের হাত ধরেই পথচলা শুরু হয়েছিল কংগ্রেস কার্যালয়ের । এরপর কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলে পরবর্তীতে পাশেই গড়ে তোলা হয় তৃণমূল কার্যালয় ।

সেটা অবশ্য 2008-09 সালের কথা । প্রথমদিকে ঘাস-ফুল শিবিরের পার্টি অফিসটি দরমার বেড়া দিয়ে গড়ে উঠেছিল । পরে সেটি কংক্রিটের তৈরি হয় । তৃণমূল ও কংগ্রেস পার্টি অফিসের ঠিক উলটোদিকেই রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের কার্যালয় । যেটি গড়ে উঠেছে 2002-03 সালে । মূলত ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক ও প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে দলীয় এই কার্যালয়-টি । সেটিও আগে দরমার বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ।

পরে অবশ্য পাকা হয়েছে পার্টি অফিস । এই তিন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে সিপিএমের বিধান পার্ক শাখা কার্যালয় । লাল ঝান্ডা শিবিরের এই পার্টি অফিসটিও বেশ পুরনো । চারটি রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস ইঁটের দেওয়াল দিয়ে গড়ে উঠলেও পার্টি অফিসের চালের ছাউনি অবশ্য টিনের শেড দিয়ে তৈরি হয়েছে । যার উলটোটা ধরা পড়েছিল হাটখোলায় শাসকদলের কার্যালয়ের ক্ষেত্রে । সেখানে তো ছাদের ওপর দোতলা করার তোড়জোড় চলছে এই মুহুর্তে । যার পিলারও উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যে ।

বারাসত, 20 জুলাই: সরকারি জমি দখল করে একের পর এক দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ । কাঠগড়ায় শাসক থেকে বিরোধী উভয় দলই ৷ ঘটনাটি বারাসত পুরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের ৷ এখানে তৃণমূল কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে সিপিএমের মতো বিরোধী দলের কার্যালয়ের পাশাপাশি সহাবস্থান ৷

সরকারি জমিতে শাসক-বিরোধীর কার্যালয় গড়ার অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

যদিও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নীলিমা মণ্ডল বলেন, "এই জমির চরিত্র'র বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই । কারণ সবে দু'বছর হয়েছে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি আমি । তাই এ নিয়ে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারব না ।"

এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিচ্ছেন ঠিকই ! কিন্তু সেই নির্দেশ কি আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে সব জায়গায় ? অন্তত উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতের ছবিটা আদৌ তা বলছে না । অভিযোগ, পুর প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর সরকারি জমিতে শাসক এবং বিরোধী দলের কার্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পার্টি অফিসগুলিতে রমরমিয়ে চলছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ৷ এই অবস্থায় স্বভাবতই, প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা ৷

Govt Land Occupation
বারাসতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় (নিজস্ব ছবি)

আইএনটিইউসি-র বারাসত জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি অতনু ঘোষ বলেন, "সাধারণ মানুষের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাই আমাদের সকলের উচিত সেই নির্দেশ মেনে চলা ৷ আর পার্টি অফিসটি তৈরির একটা ইতিহাস রয়েছে ৷ ওখানে কাউন্সিলরদের বসার কোনও জায়গা ছিল না ৷ আমিই উদ্যোগ নিয়ে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করি ৷ পরবর্তীকালে ওখানে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস তৈরি হয় ৷ যেটা পুরসভার জমিতে রয়েছে । তৃণমূল কার্যালয় হলেও ওই অফিস থেকে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেন স্থানীয় কাউন্সিলর । 34 বছরে সিপিএম অনেক জমি দখল করে ছিল নিজেদের স্বার্থে । নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই সমান । শুধু তৃণমূলের বেলায় নিয়ম । বাকিদের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হবে না, সেটা যেন না হয় ৷"

Govt Land Occupation
বারাসতে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় (নিজস্ব ছবি)

তবে আগেও বারাসতে সরকারি জমি দখল করে তাঁর উপর কংক্রিটের পার্টি অফিস গড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ তখন নাম জড়িয়েছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের । সেটা ছিল বারাসত পুরসভার 26 নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলার ঘটনা ৷ সেই খবর সবার প্রথমে তুলে ধরেছিল ইটিভি ভারত‌ । খবরের জেরে শাসকদলের পার্টি অফিসে সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে জমি জরিপের কাজও শুরু করেছিলেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা ৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সামনে এল এই কাণ্ড‌ । যেখানে সরকারি জমিতে পরপর গজিয়ে উঠেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিএমের পার্টি অফিস ৷ এই ঘটনাটি অবশ্য বারাসত পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের ৷

Govt Land Occupation
বারাসতে ফরওয়ার্ড ব্লকের দলীয় কার্যালয় (নিজস্ব ছবি)

এই বিষয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা অরুণকুমার দেবনাথ বলেন, "বিধান পার্কে কংগ্রেসের পার্টি অফিসটি সরকারি জমির মধ্যে নেই ৷ বহু বছর আগে ওখানে ফাঁকা জমি ছিল ৷ সেই জমির পাশেই পার্টি অফিসটি গড়ে তোলা হয়েছে ৷ তবে কার জমি সেটা সঠিকভাবে বলতে পারব না । এটুকু জানি সরকারি জমিতে পার্টি অফিসে পড়ে ওঠেনি ৷"

অন‍্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পুরসভার থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা আমাদের পার্টি অফিস চালু করেছি ৷ পৌর আইন অনুয়ায়ী কোনও জায়গায় ছাদ দিতে গেলে পৌরসভার অনুমতি লাগে ৷ কিন্তু শেডের ক্ষেত্রে লাগে না ৷ ওখানে যতগুলি পার্টি অফিস রয়েছে, কারও চালে ছাদ নেই । শেড রয়েছে । তা সত্ত্বেও পুরসভা কিংবা সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় । সেটা তো সকলকেই মানতে হবে ৷ আলোচনা করতে চাইলে আমরা তাতে সহযোগিতা করব ৷"

একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খানের গলাতেও । তিনি বলেন, "সরকারি কিংবা অন্য কারও জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করার অনুমোদন দেয় না পার্টি ৷ যদি কোথাও এরকম হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে ! এই তো বিষয় । সিপিএম পার্টি কখনই অন‍্যায়কে প্রশয় দেয় না ৷"

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধান পার্ক এলাকায় রাস্তার পাশে পৌরসভার নিজস্ব জমি রয়েছে । সেই জমি দখল করেই গড়ে উঠেছে শাসক ও বিরোধী দলের একের পর এক কার্যালয় । এর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো পার্টি অফিসটি হল কংগ্রেসের । যেটি গড়ে উঠেছে 1995 সালে । তৎকালীন কংগ্রেস নেতা ও বর্তমানে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়ের হাত ধরেই পথচলা শুরু হয়েছিল কংগ্রেস কার্যালয়ের । এরপর কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলে পরবর্তীতে পাশেই গড়ে তোলা হয় তৃণমূল কার্যালয় ।

সেটা অবশ্য 2008-09 সালের কথা । প্রথমদিকে ঘাস-ফুল শিবিরের পার্টি অফিসটি দরমার বেড়া দিয়ে গড়ে উঠেছিল । পরে সেটি কংক্রিটের তৈরি হয় । তৃণমূল ও কংগ্রেস পার্টি অফিসের ঠিক উলটোদিকেই রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের কার্যালয় । যেটি গড়ে উঠেছে 2002-03 সালে । মূলত ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক ও প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে দলীয় এই কার্যালয়-টি । সেটিও আগে দরমার বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ।

পরে অবশ্য পাকা হয়েছে পার্টি অফিস । এই তিন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে সিপিএমের বিধান পার্ক শাখা কার্যালয় । লাল ঝান্ডা শিবিরের এই পার্টি অফিসটিও বেশ পুরনো । চারটি রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস ইঁটের দেওয়াল দিয়ে গড়ে উঠলেও পার্টি অফিসের চালের ছাউনি অবশ্য টিনের শেড দিয়ে তৈরি হয়েছে । যার উলটোটা ধরা পড়েছিল হাটখোলায় শাসকদলের কার্যালয়ের ক্ষেত্রে । সেখানে তো ছাদের ওপর দোতলা করার তোড়জোড় চলছে এই মুহুর্তে । যার পিলারও উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.