জলপাইগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর: বিদ্যুৎবন্টন কোম্পানির কাছে 105 কোটি টাকা বকেয়া। পুজোর মুখে উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা। সরকারের কাছে বকেয়া টাকা না-পেলে পুজোর মুখে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে ৷ এমন আশঙ্কা করছে রাজ্য ইলেক্ট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন। শ্রমিকরা কাজে না এলে কাজ করাতেও সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ঠিকাদাররা।
সোমবার জলপাইগুড়িতে এক বেসরকারি হোটেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ছিলেন মুলত উত্তরবঙ্গের জেলার ছিলেন মূলত ঠিকাদাররা ৷ সেখানে তারা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। শ্রমিকরা পুজোর আগে আদৌ বোনাস বা অ্যাডভান্স পাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে বলে খবর ৷
ওয়েষ্টবেঙ্গল স্টেট ইলেক্ট্রিক্য়াল কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সভাপতি পবিত্র প্রামাণিক বলেন, "আমরা সমস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা দিচ্ছি। আপদকালীন পরিস্থিতিতে আমরা সার্ভিস দিয়ে থাকি। প্রত্যেকবার পুজোর আগে আমাদের কিছু না কিছু বকেয়া পরিশোধ করে দেয়। কিন্তু এবার সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে না। আমরা এখনও সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর আগে বকেয়া টাকা পাওয়ার কোনও আশ্বাসও পাইনি। আমাদের পাঁচটা জোন রয়েছে। শিলিগুড়ি জোনের সাত থেকে আট জোনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ আমরা আপৎকালীন কাজ করলেও অন্যান্য কাজ করতে পারব না। আমাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুই লক্ষ শ্রমিক পরিবার যুক্ত।"
তাঁর কথায়, "পুজোর আগে বোনাস ও অ্যাডভান্স দেওয়া হয়ে থাকে। পুজোর আগে শ্রমিকরা পয়সা পাবে কি না, জানা নেই। এখনই শ্রমিকরা কাজে আসা বন্ধ করে দিচ্ছে ৷ আমরা চেষ্টা করছি কোনওভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে বিঘ্ন না হয়। সরকারের কাছে আমরা দাবি করছি বকেয়া পরিশোধ করে দেওয়া হোক।" ওয়েষ্টবেঙ্গল স্টেট ইলেক্ট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সভাপতি পবিত্র প্রামাণিক জানান, এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে 105 কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
তিনি বলেন, "আমরা হাতজোড় করে গ্রাহকদের জানাতে চাই, পুজোর আগে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে না-পারলে আমাদের কিছু বলবেন না। আমরা অপারগ। কারও বিদ্যুৎ সংযোগ বিঘ্ন হলে বা কারও তার ছিঁড়লে সেই পরিষেবা দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। তবে আমাদের 24 ঘন্টা পরিষেবা বন্ধ থাকছে না।"