কলকাতা, 20 জুন: নেট দুর্নীতি কাণ্ডের মাঝে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের ৷ বাতিল করে দেওয়া হল ইউজিসি নেট পরীক্ষা। অনিয়মের অভিযোগ তুলে এই পরীক্ষা বাতিল হতেই বৃহস্পতিবার সমালোচনায় সরব রাজ্যের শিক্ষামহল ৷ পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে হতাশ পরীক্ষার্থীরা ৷ দুর্নীতির মাথা কি ধরা পড়বে? প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷
বুধবার রাতেই শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে 2024 সালের ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় ৷ দেশের সাইবার বিভাগ পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ তোলে ৷ এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে পরীক্ষার্থীদের ৷ কড়া সমালোচনা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ৷ এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী লেখেন, "কেলেঙ্কারির ধারাবাহিকতায় বাজারে নতুন কেলেঙ্কারি! পরীক্ষার অখণ্ডতার কারণে ইউজিসি-নেট বাতিল! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ! প্রশ্ন হল, তাঁরা কি মাথা ধরতে পারে ?"
পরীক্ষা বাতিল হতেই চিন্তায় একাধিক পডুয়া ৷ আবারও পরীক্ষায় বসতে হবে প্রায় 9 লাখের বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে। তবে এই পরীক্ষা কবে হবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। পরীক্ষার্থী তিথি দাস বলেন, "এতদিন ধরে নিজেকে তৈরি করে পরীক্ষা দেওয়ার পরের দিন জানতে পারছি তা বাতিল করা হয়েছে। অবশ্যই খারাপ লাগছে। প্রথমে ভুয়ো খবর ভেবেছিলাম। পরে জানতে পারি না আবার পরীক্ষা হবে। আবারও ভাবতে হবে কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে ৷ পুরো বিষয়টা নতুন করে শুরু করতে হবে ৷"
রুপা রায় বলেন, "খবরটা পেয়ে আমি ভীষণই হতবাক। এটা সত্যি দুঃখজনক ব্যাপার। এতদিন ধরে এত পরিশ্রম করে পরীক্ষা দেওয়ার পর সেটা বাতিল হল। পরীক্ষা ভালোই হয়েছিল ৷ আশা ছিল ভালো ফল হবে ৷ কিন্তু সেটা হল না। "
পরীক্ষার্থী অতেন্দ্রিয় দানা জানান, দীর্ঘ তিন-চার মাসের বেশি সময় ধরে নিজেকে তৈরি করেছি। আবার নিজেকে তৈরি করতে হবে। একবার পরীক্ষা দেওয়ার পর আবার পরীক্ষা দেওয়া। কবে পরীক্ষা হবে এখনও জানি না। কীভাবে হবে তাও জানি না। স্বাভাবিকভাবেই আমি অনিশ্চিয়তার মধ্যে হয়েছে ৷"
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুটি অর্ধে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ‘জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ’ প্রদান এবং দেশের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ নিয়োগের জন্য যোগ্যতা নির্ণয় করা হয়। এই বছরই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল 16 জুন। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা দুদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। ওয়েমার শিটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের উত্তর জমা দিতে হয়। তবে পরীক্ষা হওয়ার পরেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে এইবারের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। যার তদন্ত ভার নিয়েছে সিবিআই।