দার্জিলিং, 6 জানুয়ারি: নেই পর্যটকের চাহিদা । তার উপর আবহাওয়ার খাঁড়া । দুটো টয়ট্রেনের জয়রাইড দু'মাসের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ । যার মধ্যে একটি স্টিম জয়রাইড ও একটি ডিজেল জয়রাইড । সোমবার একটি নির্দেশিকা জারি করে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ ।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের দাবি, এতে পাহাড়ের পর্যটনে কোনওরকম প্রভাব পড়বে না । যদিও ডিএইচআরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে পর্যটনমহলের একাংশ । ইংরেজি নতুন বছরের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটকের ঢল নেমেছে পাহাড়ে । ঘুম ফেস্টিভ্যাল, দার্জিলিং মেলো টি ফেস্টিভ্যাল-সহ নতুন বছরের একাধিক অনুষ্ঠানে জমজমাটি পাহাড়ের পরিবেশ । তার উপর আবহাওয়াও দারুণ । রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনাও । যে কারণে এবার রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের ঢল নামে পাহাড়ে ।
আর এসবের মাঝে পর্যটকদের মধ্যে চাহিদাও তুঙ্গে ছিল টয়ট্রেনের । কিন্তু বছরের শুরুতেই দু'বার টয়ট্রেনের পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে । একবার পর্যটক বোঝাই টয়ট্রেনই মাঝপথে বিকল হয়ে যায় । এসবের পরও অবশ্য জয়রাইডের পরিষেবা ব্যাহত হয়নি । পর্যটকদের মধ্যে চাহিদাও ব্যাপক ছিল । কিন্তু নতুন বছরের রেশ কাটতেই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে পর্যটকদের চাহিদা । আর সেই কথা মাথায় রেখেই বিকেলের দুটো জয়রাইড পরিষেবা আজ 6 জানুয়ারি থেকে 28 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ ।
এই বিষয়ে ডিএইচআরের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, "এমনিতেই পাহাড়ে খুব তাড়াতাড়ি অন্ধকার হয়ে যায় । যে কারণে সন্ধের পর জয়রাইডগুলোতে সেভাবে যাত্রী হচ্ছে না । তার উপর এখন পর্যটনের মরশুম ধীরে ধীরে শেষের পথে । যে কারণে ওই দুটো জয়রাইড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাহাড়ে আটটি জয়রাইড চলে । সন্ধে ছ'টার পর ওই দুটো জয়রাইড বন্ধ রাখায় এখন থেকে ছয়টি জয়রাইড চলবে ৷ সেগুলি চলাচল করবে দার্জিলিং থেকে ঘুমের মধ্যে ।