চন্দ্রকোণা, 4 এপ্রিল: ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের মৃত্যু ৷ কারেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান ৷ ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোণার বালা গ্রামে। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশে লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই খবর ৷
জানা গিয়েছে, মূলত শীতলা পুজো উপলক্ষে বাড়িতে আত্মীয় স্বজন আসায় ঘর ভরতি লোক ছিল। আর সেই সময়ই কারেন্ট বন্ধ করে দেয় ছোট ভাই। সেই রাগে পরের দিনই বচসা বাঁধে দুই ভাইয়ের ৷ যা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় ৷ পরে বাঁশের আঘাতে মৃত্যু হয় ভাইয়ের। যদিও ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দাদা ও তার পরিবারের বাকি সদস্য পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার বালা গ্রামে। প্রতিবেশী ও গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, গত পরশু গ্রামে শীতলা পুজো ছিল। সেই উপলক্ষে ঘোষ বাড়িতে এসেছিল আত্মীয় স্বজন। এই পরিবারে বড় ভাই বিবাহিত কিন্তু ছোটো ভাই অবিবাহিত।
স্থানীয়দের দাবি, একই বাড়িতে থাকত দুই ভাই। তবে মাঝে মধ্যেই দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা থেকে বচসা গন্ডগোল চলতেই থাকত। অনুষ্ঠান উপলক্ষে মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণেই ইলেকট্রিক বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি মারধরের ঘটনা ঘটে যায়। মূলত এই পুজো উপলক্ষে বাড়িতে উপস্থিত হয় আত্মীয় পরিজন ৷ অভিযোগ রাতে ইলেকট্রিক বন্ধ করে দেয় ভাই গণেশ ঘোষ। এই ঘটনায় সকালে উঠে জানতে পেরে দাদা মারধর করে ভাই গণেশকে। দুই ভাইয়ের মধ্যে চলে তুমুল হাতাহাতি। আর সেসময় কাছে পড়ে থাকা বাঁশ দিয়ে ভাই গণেশের মাথার পিছনে আঘাত করে অভিযুক্ত দাদা মনসা ঘোষ।
আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গণেশ। দুপুর নাগাদ গণেশকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে অবশ্য চিকিৎসা হয় না তাঁর ৷ পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ঘাটাল মহাকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বুধবার রাতে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় গণেশের। এ বিষয়ে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশের দাবি, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অন্যদিকে, ভাইয়ের মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি ফাঁকা। ভাই গণেশ ঘোষের মৃতদেহ রয়েছে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই। ঘটনার পর ফাঁকা গোটা বাড়ি ৷ দেখা মিলেনি অভিযুক্ত দাদা-সহ পরিবারের বাকি সদস্যদেরও।
আরও পড়ুন