কলকাতা, 25 অগস্ট: সেপ্টেম্বরে 72 ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিল ট্রাক মালিক সংগঠন। ওভারলোডিং সঙ্গে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত বীরভূমের পণ্য পরিবহণ । রাজ্য পরিবহণ দফতরে বারে বারে জানানো সত্ত্বেও রাজ্যে কোনও কাজ হয়নি ৷ তাই আগামী মাসে বীরভূম চলো কর্মসূচির ডাক দিল ট্রাক সংগঠন।
বীরভূম ট্রাক অ্যান্ড টিপার অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনাস আহমেদ জানিয়েছেন যে, বীরভূমে রাতের অন্ধকারে ওভারলোড গাড়িগুলিকে মোটা অংকের টাকার পরিবর্তে পাস করানো হচ্ছে। ওজন পরিমাপ যন্ত্রে কারচুপি করে প্রপার লোড গাড়িগুলির গ্রস ওয়েট বৃদ্ধি করিয়ে জোর করে চালকদের থেকে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে। এমনই নানা জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ট্রাক মালিক সংগঠন। চালকরা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধরও করা হয়, মোবাইল থেকে ছবি তুলতে গেলে তাঁদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে সেই ছবি মুছে দেওয়া হয়। এমনটাই দাবি করেন তিনি।
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "আগের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে ট্রাক ওভারলোডের সমস্যা কিছুটা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছিল ৷ তবে আবার সেই সমস্যা পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে । জ্বালানির দাম এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। তাই মালিক পক্ষের আশঙ্কা যে, এমনটা চলতে থাকলে তাঁদের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলতে আর বেশি দেরি নেই ।"
তিনি আরও জানান যে, পুলিশ আধিকারিকদের সারপ্রাইজ ভিজিট শুধুমাত্র 'নাম কে ওয়াস্তে' । তাই এই ধরনের একাধিক সমস্যা ব্যবসায় আরও জটিলতা সৃষ্টি করছে ৷ তাই তাদের পিঠ একেবারে দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে বলেই তারা আগামী মাসের 11, 12 ও 13 তারিখ বীরভূম চলো আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ৷ এই তিন দিন সারা রাজ্যে কোনও ট্রাক পরিবহণ হবে না এবং অন্য রাজ্যের কোনো ট্রাক তারা এই রাজ্যে প্রবেশ করতেও দেবেন না বলেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৷ এরপরেও 15 দিনের সময় দিয়েছেন তারা রাজ্য সরকারকে ৷ তবে তার পরেও যদি তাদের সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে কোনও পদক্ষেপ না করা হয়, তাহলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেবেন বলেই জানিয়েছেন তারা। এর ফলে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ ট্রাক পণ্য পরিবহণ করবে না।