কলকাতা, 25 অক্টোবর: ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে সকাল থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টিতে নাকাল কলকাতা । তার জেরে শহরের বিভিন্ন পথঘাট জলমগ্ন । লেক গার্ডেন্সের বাসিন্দা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির সামনেও হাঁটু সমান জল । এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ । বলেন, দীর্ঘদিন জানিয়েছেন পুরনিগমকে । তবু তাঁর বাড়ির সামনেই বেশি জল জমে । এজন্য কলকাতা পুরনিগমের দিকেই আঙুল তোলেন তিনি ৷ তবে তাঁর এই অভিযোগের পালটা জবাবও দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ তিনি বলেন, "ওঁর বাবার সময় থেকেই ওখানে জল জমে ।"
লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন এলাকা । বালিগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য জায়গায় তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল ৷ কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর 2টো পর্যন্ত বালিগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে 124 মিলিমিটার ও যোধপুর পার্ক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে 163 মিলিমিটার । ফলে এই দুই জায়গা সংলগ্ন গোটা এলাকা জলের তলায় ।
সেখানেই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ি । তাঁকে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এই জমা জল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে । এদিন জলমগ্ন রাস্তায় নেমে চারপাশ ঘুরে দেখেন তিনি ৷ পুরনিগমকে এই জল জমার সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে এদিন অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছে শাসকদলেরই সাংসদের গলায় ৷ নিকাশি ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি বলে পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ।
তবে তাঁকে পালটা জবাব দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আজ থেকে নয়, যখন সৌগতদার বাবা বাড়িটা করেছিলেন, তখন থেকেই ওখানে জল জমে । হঠাৎ করে জল জমেনি । আমি বলেছি, বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন পাম্প চালাতে পারেনি । কারণ ওখানে জল ভরে গিয়েছিল । আবার জল ছাড়লে পাম্পিং স্টেশনের অভ্যন্তর ডুবে যেত । সেই কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল । ভাটার সময় আমরা ফের পাম্প চালিয়েছি ।"
এছাড়াও এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, "বৃষ্টি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ঘণ্টা তিন থেকে চারের মধ্যে সব রাস্তার জল নেমে যাবে । যেই জল অতীতে নামতে সময় নিত 3-4 দিন । কর্মীরা তৎপর হয় কাজ করছেন । সারা বছর নিকাশি বিভাগ পলি তোলায় দ্রুত জল নামছে । কোথাও জল থাকলেও লকগেট খোলার কিছু সময় পরেই জল নেমে যাবে ।"