তুফানগঞ্জ (কোচবিহার), 14 জানুয়ারি: এক ব্যবসায়ীর জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে । আদালতের নির্দেশের পরেও ওই তৃণমূল নেতা জমি ছাড়ছেন না বলে অভিযোগ ৷ বরং ওই নেতার হামলায় নিজের জমি ওই ব্যবসায়ী ফেরত পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ উঠেছে ৷
ঘটনাস্থল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-2 ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা । তবে সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন ৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ হবে ৷
তুফানগঞ্জ-2 ব্লকের বক্সিরহাটের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সুশান্তকুমার মজুমদার । স্থানীয় ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সংকোশ নদী লাগোয়া তাঁর 18 বিঘে জমি রয়েছে । ব্যবসায়ীর অভিযোগ, 2022 সালে সেই জমি দখল নেয় তুফানগঞ্জ-2 ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের সভাপতি গোকুল সাহা । বিষয়টি নিয়ে তিনি একাধিকবার আলোচনায় বসেন । কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি ।
সুবিচারের আশায় তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতে মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী । অভিযোগ, আদালত ব্যবসায়ীর পক্ষে রায় দিলেও জমি উদ্ধার করতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী । গতকাল, সোমবার আদালতের নির্দেশ মতো জমি দখলমুক্ত করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার হামলার শিকার হতে হয় তাঁকে । সেই সময় ঘটনাস্থলে ভূমি দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন ৷ পুলিশও ছিল ৷
সুশান্তকুমার মজুমদার বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা জোর করে জমি দখল করে রেখেছে । প্রশাসন কিছু করছে না । আদালত রায় দিলেও জমি পুনরুদ্ধার হচ্ছে না ।’’ তাঁর আরও দাবি, শাসকনেতা বলেই কোনও বিচার পাচ্ছেন না ৷ এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি । এই বিষয়ে তুফানগঞ্জ থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ হবে ।
শাসক নেতার এহেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও । যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি গোপাল সাহা বলেন, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন । উনি ওঁর জমিতে যাবেন । কেন অন্য মানুষ বাধা দেবে ? আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই অভিযোগ তোলা হচ্ছে ।’’