কলকাতা, 1 অক্টোবর: আরজি কর আবহে অভিনব উদ্যোগ পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লি পুজো কমিটির । নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রচারে স্বয়ং দুর্গারূপী 24 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইলোরা সাহা । তাঁর হাতে ত্রিশূল, পরনে লাল টকটকে শাড়ি । সঙ্গে বিরাট মহিলা বাহিনী ৷ তাঁদের সকলের হাতে আবার দুর্গার বিভিন্ন অস্ত্র ।
মহিলাদের নিজের সুরক্ষা নিজেদের হাতে ৷ এই বার্তা দিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর মহিলা বাহিনী নিয়ে ঘুরলেন গোটা তল্লাটে । মঙ্গলবার পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লির পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে কাউন্সিলর ইলোরা সাহার নেতৃত্বে একটি মিছিল হয় । তিনি নিজে হাতে ত্রিশূল নিয়ে এই মিছিলে পা মেলান ৷ সঙ্গে তাঁর মহিলা বাহিনী ছিল ৷ তাঁদের কারও হাতে খাঁড়া, তো কারও হাতে গদা, আবার কেউবা ধরে ছিলেন তির-ধনুক । সঙ্গে ঢাকের তালে বাজল আগমনীর বার্তা ।
পাথুরিয়াঘাটা নতুন বাজার-সহ আশপাশের এলাকা এই মহিলা বাহিনী নিয়ে ঘুরলেন ইলোরা সাহা ৷ সঙ্গে এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিলেন পুজোর ভিআইপি পাস । সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আবহে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের তরফে নানা অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে ৷ শুধু তাই নয়, লাগাতার আন্দোলনের জেরে যথেষ্ট চাপের মুখে রাজ্য সরকার । উৎসব আবহেও প্রতিবাদ মুখর কলকাতা । আর এর মধ্যেই এবার নারী সুরক্ষা নিয়ে বার্তা দিয়ে পুজোর প্রচারে সামিল হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর ইলোরা সাহা ।
এ দিন ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "এটা প্রতীকী মিছিল । পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লি 85তম বর্ষে আমাদের নিবেদন ব্রত পার্বণ । নারীরা আজকে সমাজের সর্বক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠিত । পুরুষদের থেকেও এগিয়ে গিয়েছে । শারীরিক সক্ষমতায়ও কোনও অংশে পিছিয়ে নেই । মায়ের দেওয়া এই প্রতিটি অস্ত্র নিয়ে আমাদের আজকের মিছিল । যাতে ভবিষ্যতে নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের দায়ভার নিজেরাই নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারি আমরা নারীরা । কোনও নারী অবলা নয়, নিজেদের সুরক্ষা করার ক্ষমতা নিজের হাতে রয়েছে ।"
তৃণমূল কাউন্সিলরের কথায়, "নারী সুরক্ষার বিষয় নিয়ে শুধু আমি নই, আমাদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সব সময় চিন্তিত । বাংলার মতো সুরক্ষিত প্রদেশ ভারতবর্ষের কোথাও নেই । তাও নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বটা নিজে দেখাটাই সবথেকে জরুরি । শারীরিকভাবে এতটাই সক্ষম হওয়া উচিত যাতে নারীরা নিজেদের নিরাপত্তা দিতে পারে । আরজি করের ঘটনাকে আমরাও তীব্র ধিক্কার জানাই ৷ তিলোত্তমার ঘটনার বিচার চাই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নির্দেশে মানববন্ধন করেছিলাম । আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হোক ।"