কোচবিহার, 7 অগস্ট: দু'দিন বন্ধ থাকার পর কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ও ভুটান-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য শুরু হল। বুধবার পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রওনা দেয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও বেশকিছু পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢুকতে শুরু করেছে। সবমিলিয়ে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বানিজ্য কেন্দ্র চ্যাংরাবান্ধায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে খবর।
চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কানু বলেন, "ধীরে ধীরে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। গত দু'দিনে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা ক্ষতি হয়েছিল। এদিন বাণিজ্য চালু হওয়ায় সবাই স্বস্তির শ্বাস ফেলছে।" পাশাপাশি এদিন সকাল থেকেই চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের বাসিন্দাদের যাতায়াতও শুরু করেছে। সকালে বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে ভুটানে ফিরেছেন বাংলাদেশে থাকা ভুটানের অ্যাম্বাসেডর ঋণচেন কুয়েন্টসিল এবং দূতাবাসের দুই আধিকারিক কারমা দর্জি এবং সনাম দর্জি। এদিন সকালেই তাদের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে ভুটানে নিয়ে যেতে ভুটান থেকে এসেছিল উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক-সহ পুলিশ বাহিনী।
তবে এদিন তারা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আসলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিছু বলতে চাননি। এদিকে বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে ভারতে ফিরতে পেরে কিছুটা স্বস্তিতে শিলিগুড়ির নক্সলবাড়ি বাসিন্দা সুরেশ মহন্ত। এক মাসের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের নীলফামারী ছেলের বাড়ি গিয়েছিলেন ঘুরতে। তবে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভারতে ফিরে এলেন বুধবার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে । তাঁর ছেলে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগ করেন বলেও জানিয়েছেন।
সুরেশ মহন্তর দাবি, সে দেশে এলাকার সব বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ছেলের বাড়িতে থাকতে না পেরেই নিরাপত্তার খাতিরে দেশে ফিরে এসেছেন তিনি ৷ তিনি কোনও ভাবে বাড়ি ফিরে আসলেও ছেলের জন্য চিন্তা হচ্ছে বলেও জানালেন সুরেশ।