দার্জিলিং, 12 মে: পৃর্বাভাস আগেই মিলেছিল হাওয়া অফিসের তরফে ৷ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উত্তরবঙ্গে বর্ষণধারা অব্যাহত ৷ তার জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন ৷ অথচ তার আগে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতিতে এই বৃষ্টি প্রাণ জুড়িয়েছিল ৷ গতকাল, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতে ঝমঝমিয়ে হয়ে চলেছে বৃষ্টি ৷ থামার লক্ষণমাত্র নেই ৷ আজ, রবিবারও ছবিটা একই রয়েছে ৷ সকাল থেকে পাহাড়ের আকাশে মেঘের ঘনঘটা ৷ বৃষ্টি হয়ে চলেছে অনবরত ৷ গ্রীষ্মেই যেন পাহাড়ে 'বর্ষা' দেখা দিয়েছে ৷ রাস্তাঘাটে জল জমেছে ৷ টয়ট্রেনের রেলট্র্যাক বৃষ্টির জলে ভরে গিয়েছে ৷
বৃষ্টির জন্য কুয়াশায় ঢেকেছে পাহাড় ৷ প্রবল বৃষ্টি হয়ে চলেছে শিলিগুড়িতে ৷ যার ফলে ব্যাহত হল শহরের নগরজীবন ৷ মনে করাল নববর্ষের সন্ধ্যা-রাতের কথা। গতকাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও। শিলিগুড়িতে শনি সন্ধ্যায় প্রথমে কয়েকফোঁটা দিয়ে শুরু হলেও পরে তা মুষলধারে শুরু হয় ৷ আচমকা প্রবল 'বর্ষণে' বৃষ্টিতে স্বাভাবিকভাবে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। রাতে এতটাই বৃষ্টি হয় যে অনেক জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল প্রবল হাওয়াও। যা আরও সমস্যা ডেকে আনে।
এই আবহাওয়ার জেরে গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একধাক্কায় 34.4 ডিগ্রি থেকে রাতে নেমে 20-র ঘরে পৌঁছে যায়। এই সময় পর্যটকরা উত্তরবঙ্গে ভ্রমণে গেলে বৃষ্টির জন্য সমস্যায় পড়তে পারেন। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস ৷ আজ রবিবার যার জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ, বৃষ্টির জন্য পড়ুয়াদের আর বাইরে বেরতে হয়নি। তবে ভয়ের কারণ ভূমিধস ৷
আরও পড়ুন: