দার্জিলিং, 26 সেপ্টেম্বর: লাগাতার বৃষ্টির জেরে পাহাড়ে বারবার ধস ৷ বন্ধ হয়েছে বাংলা সিকিম লাইফ লাইন 10 নম্বর জাতীয় সড়ক ৷ গত জুন মাস থেকে টানা বন্ধ কালিম্পং ও সিকিমগামী 10 নম্বর জাতীয় সড়ক ৷ যার জেরে পর্যটনে ক্ষতি হয়েছে প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা ৷ পুজোর আগে যদি ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক না হয়, তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে পর্যটনমহল ৷
মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড় ৷ বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে ৷ আর তার ফলে ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল ৷ কালিম্পং যাতায়াতের জন্য পেশক ও রংপোর রাস্তা ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ৷ পাশাপাশি সিকিম যাতায়াতের জন্য লাভা, গরুবাথান হয়ে আলগাড়ার বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে ৷
এদিকে, রাতভর টানা বৃষ্টির ফলে মাল্লির কাছে গারেরাঝোরায় 10 নম্বর জাতীয় সড়কে নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটেছে ৷ পাশাপাশি ধসের ঘটনা ঘটেছে দার্জিলিংয়ের মূল সড়ক লেবং রোড, সিংমারিতেও ৷ যার ফলে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছে পাহাড়বাসী ৷ এই অবস্থায় জাতীয় সড়ক বাঁচাতে ও তিস্তা বাঁচাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পর দাবি তুলেছে পর্যটনমহল ৷ তার কারণ বাংলা-সিকিম এই লাইফলাইন বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন পর্যটকরা আসতে ভয় পাচ্ছেন ৷ শুধু তাই নয়, সিকিম যেতে 8 থেকে 9 ঘণ্টা বেশি সময় লাগতে পারে বলে তারা যেতেই চাইছে না ৷
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "আমরা বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করলেও আমরা কেউ ভালো নেই ৷ এদিকে গোটা পর্যটন ব্যবসায় প্রায় 500 কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল ৷ জানি না, এই সমস্যার সমাধান হবে কি না ৷ এখনই পদক্ষেপ না করলে আগামীতে এই রাস্তাই থাকবে না ৷ এতদিন জাতীয় সড়ক বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, তার জন্য শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি রাখছি আমরা ৷"
জানা গিয়েছে, জুন মাস থেকে সিকিম ও পাহাড়ে পর্যটনে প্রায় 70-80 শতাংশ বুকিং হয়ে যায় ৷ যা কমে 30-40 শতাংশে নেমে গিয়েছে ৷ যদি জাতীয় সড়ক ঠিক না করা হয়, তবে আগামীতে এই ক্ষতি পর্যটন ব্যবসায়ীরা কীভাবে পূরণ করবে, তা জানা নেই ৷ এমত অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপের দাবি রাখছেন তাঁরা ৷