কলকাতা, 23 জুলাই: তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছে মোদি সরকার ৷ বাজেটে সস্তা হয়েছে সোনা থেকে শুরু করে মোবাইল ৷ বিহার-অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ৷ বিরোধীদের দাবি, এই বাজেট বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশকে মাথায় রেখেই করা হয়েছে ৷ প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও ৷ কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে কী বলছে চেম্বারগুলি ?
অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ার আয়ুষ বিভাগের চেয়ারম্যান ডক্টর সুদীপ্ত নারায়ণ রায় জানান যে, ন্যাশনাল আয়ুষ টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্ল্যান্ট বোর্ড (এনএমপিবি) গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ৷ সেগুলিকে এই বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি ।
তিনি আরও জানান, এই বাজেটে কৃষি গবেষণা এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে । হর্টিকালচারাল ফসলের উৎপাদনের বৃদ্ধির জন্য যে নতুন পরিবর্তনগুলি আনা হয়েছে, তা কৃষিক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করবে ৷
ভারতের চেম্বার অব কমার্সের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিভাগের চেয়ারম্যান অচ্ছুত চন্দ্র বলেন, ‘‘কর্মসংস্থানের সুযোগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে ৷ নতুন প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে ৷ যাতে তাঁরা উপার্জন করতে পারেন ৷ এর ফলে দেশের পার ক্যাপিটা ইনকাম বৃদ্ধি হবে । এগ্রিকালচারাল ট্যুরিজম এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে 50 শতাংশের কাছাকাছি কর্মসংস্থান হওয়ার সুযোগ রয়েছে ।’’
ভারতের চেম্বার অব কমার্সের আরেক সদস্য সৌরভ খেমানি জানান, মোটের উপর ব্যালান্সড বাজেট । যদিও এবারের বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের আশা অনেক বেশি ছিল ৷ তবে এই বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ অ্যাঞ্জেল ট্যাক্সে ছাড় দেওয়া হয়েছে । ফলে বিরোধীরা হতাশ হলেও বাজেট নিয়ে খুশি চেম্বারগুলি ৷