কলকাতা, 1 অক্টোবর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে ইউনিট ঘোষণা করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ৷ আরজি করের নৃশংস ঘটনা নিয়ে শর্ট ফিল্ম করার অপরাধে রাজন্যা হালদারকে বহিষ্কার করেছে দল ৷ তাঁর জায়গায় যাদবপুরে টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি কিশলয় রায় ৷ শুধু সভাপতি নয়, পুরো ইউনিটের নাম ঘোষণা করেছে টিএমসিপি ৷
আরজি করের ঘটনা নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজন্যা হালদার ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয় ৷ দুই নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ৷ এরপর স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি ইউনিটের নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা ৷
সভাপতি ছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিটের অন্যান্য সদস্যের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ৷ নতুন এই ইউনিটের চেয়ারম্যান হয়েছেন অমিতকুমার মণ্ডল ৷ সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তন্ময় প্রামাণিক, ফিরোজ আলি লস্কর ও সায়ক চক্রবর্তীকে ৷ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমিনুল ইসলাম মোল্লা ও তীর্থরাজ বর্ধনকে ৷ সম্পাদক হয়েছেন সেখ সাহিল, অন্তরা দাস, শাওয়াজ খান, সোমনাথ সর্দার, উদিতা পাল, রাজ আরয়ান সিং এবং রিতম দত্ত ৷ ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়েছে কুতুবুদ্দিন বদ্দি, ইশিতা সরকার, রূপসা রায়, সানা মণ্ডল ও সৃজিতা বরুয়াকে ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেছেন কিশলয় রায় । আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন । তারপর ওই বিষয় নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন তিনি । বর্তমানে সাংবাদিকতা নিয়ে দ্বিতীয়বার স্নাতকোত্তর করছেন কিশলয় । প্রথম থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি । সংগঠনের একাধিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে । এবার তাঁর নতুন দায়িত্ব ।
ইটিভি ভারত কিশলয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বাইরে থেকে বাম ঘাঁটি বলে মনে হলেও বিষয়টা তা নয় ৷ বামেরা ছাত্রছাত্রীদের থ্রেট দিয়ে ভয় দেখিয়েই রাখে ৷ অনেক ছাত্ররাই তৃণমূল মনস্ক আছেন, তবে তাঁরা অনেক সময় উঠে আসতে পারেন না ৷ সেগুলি এবার দেখতে হবে ৷ নানারকম প্রোগ্রাম করে ক্লাসে প্রচার চালিয়ে তৃণমূলকে ক্যাম্পাসে আরও শক্তপোক্ত করাই আমার মূল লক্ষ্য ৷"
গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর ছাত্রী রাজন্যা হালদারের উপর ভরসা রেখেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ । বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে ৷ কিন্তু তারপর আর সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি রাজন্যা হালদারকে । পরবর্তী সময়ে আরজি কর কাণ্ডে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা করার জন্য দল তাঁকে সাসপেন্ড করে ।