কেতুগ্রাম, 12 মে: দেশজুড়ে সোমবার হতে চলেছে চতুর্থ দফার নির্বাচন ৷ এরমধ্যে বাংলার আটটি কেন্দ্রে নির্বাচন আজ ৷ বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম, বোলপুর, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর ও বহরমপুর ৷ আর তার আগের রাতে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামে ঘটল নৃশংস খুনের ঘটনা ৷ এক ব্যক্তিকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ৷ এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারারও অভিযোগ ওঠে ৷ মৃতের নাম মিন্টু শেখ (45)। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ওই ব্যক্তি তাদের দলীয় কর্মী ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মিন্টু শেখ তাঁর এক সঙ্গীকে বাইকে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কেতুগ্রাম বিধানসভার চেঁচুড়ি গ্রামের কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। এরপর তাঁকে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে তারা। এরপর মিন্টু শেখকে লক্ষ্য করে বোমাও মারা হয়। পরপর তিনটি বোমা নিক্ষেপ করা হয় মিন্টুকে লক্ষ্য় করে ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মিন্টু শেখ তাদের দলের কর্মী ছিলেন। তারা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সিপিএম'কে ৷ কেতুগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ বলেন, "ওই ব্যক্তি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গতকাল রাতে পাশের সুদিপুরগ্রামে তৃণমূলের নির্বাচনি কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরার সময় মিন্টুর উপর আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত সিপিএম ৷" পালটা কেতুগ্রামের সিপিএম নেতৃত্ব তৃণমূলের তোলা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এহেন ঘটনা ঘটেছে ৷
আরও পড়ুন: