বারুইপুর, 3 সেপ্টেম্বর: হাসপাতালে ঢুকে তৃণমূল নেত্রীর পরিচয় দিয়ে চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে ৷ তাঁর চাকরি খেয়ে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ ঘটনার সময় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের কক্ষে উপস্থিত রোগীরা বিষয়টি জানায় বারুইপুর থানায় ৷ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আসে পুলিশ ৷ অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ ৷
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরের বামুনের চকের বাসিন্দা মুনমুন মোল্লা ৷ এলাকায় তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ৷ স্থানীয় কয়েকজন যুবকের একটি সংস্থায় চাকরি পাওয়ার কথা ৷ তাই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন ৷
সেই পরীক্ষার জন্য যুবকদের নিয়ে মুনমুন মোল্লা বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে আসেন ৷ শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় তিনি চিকিৎসক অভিজিৎ নস্করের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে হুমকিও দেন ৷ এই ঘটনায় বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চিকিৎসক অভিজিৎ নস্কর ৷ বারুইপুর হাসপাতালে পক্ষ থেকেও থানায় আলাদা করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারইপুর হাসপাতালে সুপার ধীরাজ রায় ৷ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি ৷
এদিকে অভিযুক্ত মুনমুন মোল্লার পালটা অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে গরু-ছাগল বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছেন ৷ এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক অভিজিৎ নস্কর বলেন, "রোজই ওপিডিতে ভিড় থাকে ৷ এর মধ্যে তিনি (মুনমুন মোল্লা) এসে দাবি করছেন, তাঁকে আগে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে হবে ৷ আমি বলেছিলাম, আগে সব রোগীদের দেখা শেষ হবে ৷ তারপর ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে পারব ৷ তখন তিনি বললেন, আমি নেতা, আমি আপনার চাকরি খেয়ে নেব ৷ আপনাকে আমি দেখে নেব ৷"
এক রোগী অনুশ্রী রায় বলেন, "চিকিৎসক আমাদের লাইন দিয়ে দেখছেন ৷ ওঁরা বলছেন কী বাইরে যাবেন, মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে ৷ চিকিৎসক তখন বললেন, আগে রোগীদের ছাড়ি ৷ বেলা 1টার পর থেকে দেখে দেব ৷ একটা বেজে যাওয়ার পর তিনি (মুনমুন মোল্লা) বলছেন, তোর চাকরি খেয়ে নেব ৷ আঙুল তুলে টেবিল চাপড়ে বলছেন 'তোর চাকরি খেয়ে নেব' ৷"