ETV Bharat / state

দুর্গাপুরে তৃণমূল কর্মীকে হত্যা, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন - TMC Worker Murder

TMC Worker Murdered: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে 26 বছরের তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ কাঁকসায় ৷ অভিযুক্ত সুদ ব্যবসায়ী পলাতক । তাঁর বাড়ি ও গাড়িতে আগুন লাগালো উত্তেজিত জনতা ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷

TMC Worker Murdered
TMC Worker Murdered
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 20, 2024, 4:30 PM IST

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে 26 বছরের তৃণমূল কর্মীকে খুন

দুর্গাপুর, 20 মার্চ: লোকসভা ভোটের মুখে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ৷ ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঁকসার গোপালপুরের উত্তরপাড়া এলাকা ৷ মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম পবিত্র বিশ্বাস (26)। তাঁকে পিটিয়ে তারপর শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাসের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর বাড়ির সামনে থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি ৷ এরপরেই শম্ভুর বাড়ির সামনে থাকা একটি চারচাকা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা ৷ অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং দমকলের দুটি ইঞ্জিন ।

বুধবার সকালে ফের ঘটনাস্থলে আসেন কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল ও কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষ। সুমন জয়সওয়াল বলেন, "গত রাতে পবিত্র বিশ্বাস নামে 26 বছরের এক যুবককে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পারি । শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে যুবকের দেহ পড়েছিল ৷ এর জন্য তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা । দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই কীভাবে মৃত্যু হল ওই যুবকের তা জানা যাবে ।"

অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে পবিত্র বিশ্বাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান শম্ভু বিশ্বাস। তারপর পবিত্রকে অভিযুক্ত পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় শম্ভু বিশ্বাস। ঘটনার পর থেকে শম্ভু দাসের পরিবারের কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি । গোপালপুর গ্রামে পুলিশি টহল চলছে ।

পবিত্রর মামা সুনীল মণ্ডল বলেন, "রাতে পবিত্র বাড়িতেই ছিল। তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ফোন করে ডাকে । পবিত্র সেই ফোন পেয়ে বেরিয়ে যায় ৷ এরপরেই পবিত্র বাড়িতে ফোন করে জানায় সে বড় বিপদে রয়েছে ৷ আমি এবং আমার স্ত্রী গিয়ে তাঁকে খোঁজাখুঁজি করি ৷ কিন্তু ভাগ্নের খোঁজ পায়নি। পরে সে আবার ফোন করে তারপরে গিয়ে দেখি তাঁর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাস তাঁকে খুন করেছে । হয়ত তাদের মধ্যে লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ ছিল । শম্ভু এই এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় । কেউ টাকা না-দিলে তার বাড়ি ঘর এমনকী স্ত্রীকেও ভোগ করত। আমরা চাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ।"

আরও পড়ুন:

  1. নেশা করিয়ে যুবককে খুনের অভিযোগ তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে, গ্রেফতার নিহতের মা
  2. স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার অভিযুক্ত
  3. নিমতায় খুন কলকাতার ব্যবসায়ী, বস্তাবন্দি দেহ পুঁতে তোলা হয়েছিল পাঁচিল

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে 26 বছরের তৃণমূল কর্মীকে খুন

দুর্গাপুর, 20 মার্চ: লোকসভা ভোটের মুখে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ৷ ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঁকসার গোপালপুরের উত্তরপাড়া এলাকা ৷ মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম পবিত্র বিশ্বাস (26)। তাঁকে পিটিয়ে তারপর শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাসের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর বাড়ির সামনে থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি ৷ এরপরেই শম্ভুর বাড়ির সামনে থাকা একটি চারচাকা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা ৷ অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং দমকলের দুটি ইঞ্জিন ।

বুধবার সকালে ফের ঘটনাস্থলে আসেন কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল ও কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষ। সুমন জয়সওয়াল বলেন, "গত রাতে পবিত্র বিশ্বাস নামে 26 বছরের এক যুবককে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পারি । শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে যুবকের দেহ পড়েছিল ৷ এর জন্য তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা । দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই কীভাবে মৃত্যু হল ওই যুবকের তা জানা যাবে ।"

অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে পবিত্র বিশ্বাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান শম্ভু বিশ্বাস। তারপর পবিত্রকে অভিযুক্ত পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় শম্ভু বিশ্বাস। ঘটনার পর থেকে শম্ভু দাসের পরিবারের কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি । গোপালপুর গ্রামে পুলিশি টহল চলছে ।

পবিত্রর মামা সুনীল মণ্ডল বলেন, "রাতে পবিত্র বাড়িতেই ছিল। তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ফোন করে ডাকে । পবিত্র সেই ফোন পেয়ে বেরিয়ে যায় ৷ এরপরেই পবিত্র বাড়িতে ফোন করে জানায় সে বড় বিপদে রয়েছে ৷ আমি এবং আমার স্ত্রী গিয়ে তাঁকে খোঁজাখুঁজি করি ৷ কিন্তু ভাগ্নের খোঁজ পায়নি। পরে সে আবার ফোন করে তারপরে গিয়ে দেখি তাঁর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাস তাঁকে খুন করেছে । হয়ত তাদের মধ্যে লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ ছিল । শম্ভু এই এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় । কেউ টাকা না-দিলে তার বাড়ি ঘর এমনকী স্ত্রীকেও ভোগ করত। আমরা চাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ।"

আরও পড়ুন:

  1. নেশা করিয়ে যুবককে খুনের অভিযোগ তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে, গ্রেফতার নিহতের মা
  2. স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার অভিযুক্ত
  3. নিমতায় খুন কলকাতার ব্যবসায়ী, বস্তাবন্দি দেহ পুঁতে তোলা হয়েছিল পাঁচিল
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.