বাগুইআটি ও কসবা, 28 এপ্রিল: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে শনিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগুইআটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষ হল ৷ চলল ইটবৃষ্টি ৷ তাতে প্রাণ গেল একজনের ৷ ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। খুনের ঘটনায় 13 জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে, কসবার আনন্দপুর থানার অন্তর্গত যৌবভাগা রোডের কাছে ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাতে গিয়ে মাথা ফাটল বিজেপি মণ্ডল সভাপতির ৷
বাগুইআটিতে এদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে খানিকটা প্রশমিত হয়। পুনরায় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে ৷ এরপরেই সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা ইটের আঘাতে আহত হন। তারপরেই তাঁকে টেনে নিয়ে এসে রাস্তায় ফেলে রড, লাঠি, ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার পুলিশ এলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিত আরও জটিল হলে পুলিশকে ব়্যাফ নামতে হয়। এরপরেই পুলিশি আশ্বাসে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয় ৷
এদিকে, আহত কসবার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সরস্বতী সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ৷ তিনি জানান, রবিবার বিকেল নাগাদ যৌবভাগা রোডে তিনি ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা ব্যানার-ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন। রাতের দিকে স্থানীয় কিছু তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। মারধর করতে শুরু করে। সরস্বতী সরকার তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আটকাতে গেলে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সরস্বতীর মাথায় পাঁচটি স্টিচ পড়েছে। আনন্দপুর থানায় এবিষয়ে এফআইআর দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: