কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ট উত্তম সর্দারকে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। এদিন রেড রোডে ধরনা মঞ্চ থেকে মন্ত্রী ও তৃণমূলের জেলার সাংগঠনিক বিষয় ভারপ্রাপ্ত পার্থ ভৌমিক এই ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের পরেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে কিছুদিন আগে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয় কোনও অভিযোগ নেই বলে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলে তাকে দল কেন সাসপেন্ড করল ?
এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, "আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস দলটাকে ভালোবাসি। জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সরদার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছেন। বাজে ব্যবহার করছেন। আমাদের দল সিপিএমের মত নয়। ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় আমাদের চারজনের কমিটি গড়ে তদন্ত শুরু করি। সেই কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। তার ভিত্তিতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে উত্তমকে 6 বছরের জন্য বহিষ্কার করলাম।"
এই ঘটনায় বিরোধী দলগুলোর কটাক্ষ করেছে। সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়েছে, আসলে এভাবে মানুষের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা হচ্ছে। সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল। উত্তম জমি দখল থেকে শুরু করে তোলাবাজির করে যে টাকা পেয়েছেন তার ভাগ দলের নেতারাও পেয়েছেন। এখন হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছেন। অতীতে আরবুলকে 6 বছর সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তারপর কী হয়েছে সেটা সবার জানা।
একইভাবে বিজেপির তরফে দাবি, উত্তমের মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিল তৃণমূল। এরপর হয়তো তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে। আসলে এসবই জনরোষ থেকে অভিযুক্তকে বাঁচানোর কৌশল। আর দলের ভাবমূর্তি ধরে রাখা। মূল অভিযুক্ত শেখ শাজাহান কেন পাঁচ সপ্তাহ পরেও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ ? শাহজাহান-সহ উত্তমের মত সব ঘনিষ্ট দের গ্রেফতার করতে হবে।
আরও পড়ুন
সন্দেশখালিকে শান্ত করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য 144 ধারা জারি প্রশাসনের, বন্ধ হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবাও
কেএলও জঙ্গি সন্দেহে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার এক
বন্দুক হাতে প্রকাশ্যে সন্দেশখালিতে দাপাদাপি দুষ্কৃতীর, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন