কলকাতা, 28 জানুয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ইঙ্গিত মিলেছিল আরও একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। 100 দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা রাজ্যে বন্ধ ৷ এই অবস্থায় রবিবার পথে নেমেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ কুমারের নেতৃত্বে এদিন গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। এই মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ এছাড়াও ছিলেন বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার, রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ৷ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক কাউন্সিলরও এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। মূলত এই দিনের মিছিল থেকে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েই সরব হয় তৃণমূল।
এদিন মিছিল শেষে হাজরার জনসভা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 100 দিনের কর্মীদের নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলার গরিব মানুষ তাদের হকের টাকা না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলনের পাশেই থাকবে তৃণমূল।" এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে 100 দিনের কর্মীদের টাকা না দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যখন তৃণমূল সাংসদরা দেখা করেছিল তখন তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্র-রাজ্যের আধিকারিক স্তরের বৈঠকের পর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।"
এক্ষেত্রে তাঁর দাবি, রাজ্যকে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাস্তবে কোনও সমস্যাই নেই। আদতে বাংলাকে বঞ্চনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফিরহাদ হাকিম এও বলেন, "আসল সমস্যা হল সদিচ্ছার। কেন্দ্রীয় সরকার যদি গরিব মানুষকে টাকা দেয়, সেই টাকা সরাসরি মানুষের অ্যাকাউন্টে যাবে ৷ রাজ্য সরকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তা জমা হবে না। অতএব এসব করে আসলে বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করছে তারা।"
এদিন এই সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ কলকাতার সংসদ মালা রায়ও। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও হাজির ছিলেন। তাদের মূল বক্তব্য একটাই, গরিব মানুষের টাকা যে কোনও মূল্যেই হোক দিতে হবে কেন্দ্রকে ৷ না হলে আন্দোলনের রাস্তাতেই থাকবে তৃণমূল।
আরও পড়ুন