কলকাতা, 11 জুলাই: প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়কে প্রাণনাশের হুমকি ৷ তৃণমূলের সাংসদের অভিযোগ, তাঁকে পরপর দু'বার ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ আড়িয়াদহকাণ্ডে ধৃত জয়ন্ত সিংয়ের মুক্তির দাবিতে এই হুমকি ফোন বলেও দাবি সৌগতর ৷
তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘আমি একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন কল পেয়েছি । অপর প্রান্তের ব্যক্তি দাবি করে, আমি জয়ন্ত সিংয়ের মুক্তি নিশ্চিত না করলে আমাকে হত্যা করা হবে ।’’ বুধবার সংবাদসংস্থা’কে সৌগত রায় আরও বলেন, ‘‘ফোন করে বলে, আমি আড়িয়াদহে গেলে সে আমাকে মেরে ফেলবে । হুমকি দিয়ে দু’বার ফোন এসেছিল ৷ এর সঙ্গেই আমাকে গালিগালাজও করে ৷ আমি পরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ৷’’
তৃণমূল সাংসদের দাবি, তাঁর ফোনে দু’বার অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে ৷ সেখানে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘যদি জয়ন্ত সিংকে দ্রুত মুক্তি না-দেওয়া হয়, তবে গুলি করে খুন করা হবে সাংসদকে ।’ আড়িয়াদহকাণ্ডে কার্যত তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি ৷ ভাইরাল ভিডিয়ো সামনে আসতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংকে ৷ এরপরই সামনে আসতে থাকে জয়ন্তের সঙ্গে তৃণমূলের সখ্যতা ৷ কখনও মদন মিত্র, কখনও সৌগত রায়ের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে জয়ন্তকে ৷ এর মাঝেই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদকে খুনের হুমকির সঙ্গেও জড়াল সেই জয়ন্তর নাম ৷
পুলিশকে নম্বরটি ট্র্যাক করার জন্য অনুরোধ করেছেন সাংসদ। পাশাপাশি পুলিশে একটি পৃথক অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। গত 30 জুন এক কলেজ ছাত্র এবং তাঁর মা’কে প্রকাশ্যে মারধর করার ঘটনায় জয়ন্ত সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পরে ভিডিয়ো ক্লিপ দেখে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও শুরু করেছে । ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে জয়ন্তর এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ অন্যদিকে, এই জয়ন্ত সাথে সিংয়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, সৌগত রায় বলেন, ‘‘তাকে গ্রেফতারের আগে, বেআইনী কার্যকলাপ থেকে দূরেই ছিল এটা ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে নয়। যদি দলের মধ্যে কোনও অভিযোগ পাওয়া যেত, আমরা নিশ্চই সেগুলি দেখতাম।"
(পিটিআই)