দুবরাজপুর, 15 জুন: দলে থেকে যাঁরা বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের বহিষ্কারের আর্জি জানালেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ৷ শনিবার দুবরাজপুরে একটি দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বীরভূমের সাংসদ স্পষ্ট বলেন, "যাঁরা দলে থেকে গদ্দারি করেছেন, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাঁদের দল থেকে বের করুন ৷" সাংসদের কথায় এটা স্পষ্ট, তৃণমূলে থেকেও বিজেপির দিকে ঝুঁকে ছিলেন এমন কর্মীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হতে চলেছে বীরভূম জেলায় ৷
এর আগে এই এক কথা ভোটের পরপরই বলেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দলে থেকেও যারা দলের হয়ে ভোট ময়দানে নামে বা পিছন থেকে ছুরি মেরেছে তাদের সাবধানও করেছিলেন অভিষেক ৷ সেই সুরে সুর মিলিয়ে একই বার্তা দিলেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ৷
বর্তমানে তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল ৷ আর অনুব্রতহীন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে চার বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ হন অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ৷ চার বারের মধ্যে সব থেকে বেশি প্রায় এক লক্ষ 97 হাজার ভোটে জয়লাভ করেন তিনি ৷ এদিন, দুবরাজপুরের রবীন্দ্র সদনে একটি দলীয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল ৷ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়-সহ দলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও ব্লক ও অঞ্চল স্তরের নেতৃত্ব ৷
এদিন সভা মঞ্চে বক্তৃতার সময় অভিনেত্রী-সাংসদ এও বলেন, "যারা দলে থেকে দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছে, যারা আমাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাদেরকে আশ্রয় দেবেন না ৷" শতাব্দী রায় আরও বলেন, "সবাই তৃণমূল করবে না ৷ কেউ কেউ বিজেপি করবে, তবে যাই করুক, অন্তত বুক ফুলিয়ে যেন বলে হ্যাঁ আমি বিজেপি করি ৷ লুকিয়ে লুকিয়ে যেন কিছু না করে ৷" অর্থাৎ, লোকসভার নির্বাচন মিটতেই দল বিরোধীদের চিহ্নিত করার আর্জি সাংসদ শতাব্দী রায়ের ৷