পাণ্ডুয়া, 1 অগস্ট: হাসপাতালে পর্যাপ্ত সাফাই কর্মী নেই ৷ নেই কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷ বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে নিজের চোখে হাসপাতালের দুর্দশা দেখলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অবিলম্বে এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে, জানালেন হুগলির দিদি নম্বর 1 ৷ এর আগে তিনি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ৷
এদিন পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ ৷ হাসপাতালের মধ্যে অযথা রোগীর আত্মীয়দের ভিড় বন্ধ করতে হবে ৷ প্রয়োজনে প্রতিটি রোগীর জন্য ভিজিটিং কার্ড করতে হবে ৷ হাসপাতাল পরিষ্কার না থাকলে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি ৷ সেই সব দিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সের। পাণ্ডুয়া হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স সব বিষয়টি শুনলেন ৷
তাঁদের সমস্যার কথাও জানালেন রচনাকে ৷ যদিও এদিন উপস্থিত ছিলেন না পাণ্ডুয়া হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মঞ্জুর আলম ৷ সাংসদ চলে যাওয়ার পরে পাণ্ডুয়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ৷ তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান সবকিছু শুনেছেন পরে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংসদ সুইপার ও সিকিউরিটির বিষয়ে যা বলেছেন, এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে ৷ যদি সরকারি তরফে ব্যবস্থা করা হলে অবশ্যই উদ্যোগ নেওয়া হবে ৷
হাসপাতাল ঘুরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসক মনিশংকর মুখোপাধ্যায়কে বলেন, "এত বড় হাসপাতাল অপরিষ্কার রয়েছে ৷ এখানে মানুষ আসে চিকিৎসা করার জন্য, অসুস্থ হওয়ার জন্য নয় ৷ সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাকে বলছি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা দরকার ৷ আমি পাঁচ বছর আছি দিদির সঙ্গে কথা বলে কতটা কী উন্নতি করা যায়, তার চেষ্টা করব ৷ বাইরে সিকিউরিটি রাখতে হবে ৷ একজন রোগীর জন্য 10 জন লোক ঢুকতে পারবে না ৷"
রচনা এদিন প্রত্যেক রোগীর জন্য পাস তৈরির উপর জোর দেন ৷ একজন সেই পাস নিয়ে হাসপাতালে ঢুকবে ৷ যদি দু'জনকে ঢুকতে দিতে হয়, তার জন্য স্পেশাল পাস ইস্যু করতে হবে ৷ তাহলে হাসপাতালের মধ্যে এত কোলাহল হবে না বলেই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ ৷ আর এই গোটা বিষয়টা দেখার জন্য পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় ঘোষকে দায়িত্ব দেন সাংসদ ৷ তিনি এক মাস পরে ফের আসবেন বলে জানিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
সাংবাদিকদের সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পাণ্ডুয়া হাসপাতালের সামনে জলমগ্ন হয়ে আছে ৷ মেঝের ঢাল থাকার কারণে জল বের হতে পারছে না ৷ এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে ৷ 10 জন সুইপার থাকা উচিত। ময়লার বালতিগুলি পরিষ্কার করতে হবে ৷" চিকিৎসকের প্রয়োজনের কথাও জানান তিনি ৷